
সরকারি চাকরিজীবী পুত্রের বাবা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েও পাচ্ছেন প্রতিবন্ধী পেনশন। আবার কোথাও জলজ্যান্ত স্বামী থাকা সত্তেও মা পাচ্ছেন বিধবা ভাতা।
এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে নদীয়াজেলার শান্তিপুর শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে।এই এলাকার সূত্রাগড় গাইনপাড়ার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন গাইনের একমাত্র পুত্র সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। নাজিম উদ্দিন শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েও পাচ্ছেন বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য সরকারের তরফ থেকে পদেওয়া মানবিক পেনশনের এক হাজার করে টাকা। এ বিষয়ে নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি ভেবেছিলেন এটা বৃদ্ধ ভাতা! কিন্তু তা হলেও জন্ম শংসাপত্র অনুযায়ী ৬০ বছর পূরণ হতে এখনো বেশ কয়েক বছর বাকি। প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র যে তার নেই তা স্বীকার করেছেন তিনি নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি অফিসের হয়ত কোন ভুল হয়েছে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাতার বিষয়ে সরকার না হয় ভুল করেছে, কিন্তু স্বামী বেঁচে থাকা সত্তেও তার স্ত্রী ফাতেমা বিবি গাইন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে বিধবা ভাতা কিভাবে পাচ্ছেন ?এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, কেউ স্বামীহারা হয়েছেন পাঁচ কিংবা দশ বছর কেউবা তারও বেশি, এখনো মেলেনি সরকারি সহযোগিতা। অথচ যাদের স্বামী বেঁচে রয়েছে, বাড়িতে সরকারি চাকরি রয়েছে,তারা পাচ্ছেন বিধবা ভাতা।আবার প্রতিবন্ধী না হয়েও অনেকে পাচ্ছেন মানবিক পেনশন ।ওই একই পরিবারের স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী পাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার একই সাথে সধবা হয়েও বিধবা ভাতা। স্পষ্টতই সরকারি ক্ষমতার সম্পূর্ণ অপব্যবহার হচ্ছে।
স্থানীয় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর শাজাহান শেখ জানিয়েছেন, ওই উপভোক্তা তার ওয়ার্ডে বসবাস করলেও তার ওয়ার্ডের অনুষ্ঠিত হওয়া দুয়ারে সরকার কিংবা কাউন্সিলরের মাধ্যমে আবেদন জমা করেননি। কিভাবে একই বাড়িতে তিনটি ভাতা হলো তা তার জানা নেই। এর পিছনে একটা চক্র যে আছে তা তিনি নিজেও স্বীকার করছেন।
বিষয়টিকে তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপি বলেছে, কেন্দ্রের দেওয়া টাকা এভাবেই অপচয় হয়েছে প্রতিটি বিভাগে।
ওই এলাকাতেই রয়েছেন বেশ কিছু বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি, তারা সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও পাচ্ছেন না মানবিক পেনশন, বন্ধ হয়েছে বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতার নতুন আবেদন জমা দেওয়া। তাই তারাও দাবি তুলেছেন অবিলম্বে এই ভুয়ো উপভোক্তাদের সরিয়ে তাদের জায়গা দেওয়া হোক।