
ওঙ্কার ডেস্ক: রাত পোহালে নতুন বছর। রাতের ঠিক ১২ টা বাজলেই মুঠোফোনে ভেসে উঠবে একের পর এক ডিজিটাল শুভেচ্ছা। হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইলের যুগে হারিয়ে গেছে গ্রিটিংস কার্ড। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন আসার পর থেকে আসতে আসতে আকর্ষণ হারাতে শুরু করেছিল গ্রিটিংস কার্ড এবং এখন তা প্রায় হারিয়েই গেছে। আগে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে, প্রতিটি স্কুলের সামনে থাকত একটি করে গ্রিটিংস কার্ডের দোকান, আর তার সামনে প্রচুর ভিড় যা এখন আর প্রায় দেখাই যায় না।ব্যবসায়ীদের কথায় আগের মতো সেই ব্যবসা আর নেই এখন। আগে গ্রিটিংস কার্ড বানাতে রাতের পর রাত জাগতে হত, তাসত্বেও মানুষের চাহিদা মেটানো মুশকিল হত, আর এখন হাতে গুনে কয়েকটা কার্ড হয়তো বিক্রি হয়।ডিজিটাল যুগে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও মজেছে ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপের ডিজিটাল মেসেজে। তাদের অনেকের কথায়, গ্রিটিংস কার্ডের সঙ্গে জুড়ে আছে অনেক স্মৃতি। তখন এটি ছিল একটি উত্তেজনার বিষয়, রাত জেগে তৈরি করা, বন্ধুরা কেমন গ্রিটিংস কার্ড দেবে সেই নিয়ে উত্তেজনা থাকত মনে।
হারিয়ে গেছে সেইসব সোনালি দিন। এখন এক মুহূর্তের মেসেজেই প্রকাশ পায় আন্তরিকতা। তবু আজও কোথাও কোথাও দেখা মেলে গ্রিটিংস কার্ডের দোকানের, বিক্রি তেমন না হলেও আন্তরিকতার ছোঁয়া দেওয়ার জন্যই হয়তো পসরা সাজিয়ে বসেন সেই ব্যবসায়ীরা।