
ওঙ্কার ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা এবং বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে পালিত হতে চলেছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান। একবছর আগে রাজ্য বিজেপি অফিসের সামনে এবং রাজ্যের একাধিক জেলায় রাজ্য বিজেপিতে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে নজিরবিহীন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিল বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীকে চিঠি লিখে নতুন বছরে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের আবেদন জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে।
রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ বলে অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, আগামীদিনে হিন্দু মহাসভা ও পশ্চিমবঙ্গ আদর্শবাদী বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের সংযুক্তি বিরোধী লবির চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে। এব্যাপারে হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, আগামী বছর রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কারও বিরোধী নই, আমরা সনাতনী জাতীয়তাবাদী আদর্শের পক্ষে। রাজনৈতিক দলগুলোতে পার্টিকর্মীদের একাংশ যাঁরা নিজেদের দলেই উপযুক্ত মর্যাদা পান না। ওঁদের জন্য আমাদের পার্টির দরজা খোলা।
সূত্রের খবর, আগামী ৩১ ডিসেম্বর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বাসভবনে ওঁদের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। সামাজিক গণমাধ্যমে এজন্যে আহ্বান বার্তা পাঠানো হয়েছে সকলের যোগদানের জন্য। পশ্চিমবঙ্গ আদর্শবাদী বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের নেতা দীপক কুমার সরকার, আশিস সাউ, কার্তিক মাইতি প্রমুখ একযোগে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে একযোগে পথচলা শুরু ।
হিন্দু মহাসভার অফিস সেক্রেটারি অনামিকা মন্ডল বলেন, ইতিমধ্যে কলকাতার বিভিন্ন স্থান যেমন, ধর্মতলা, এম জি রোড, প্রেস ক্লাব, ভবানীপুর, রবীন্দ্রসদন, পার্কস্ট্রিট, হাজরা, কালীঘাট-সহ নানা এলাকায় হিন্দু মহাসভা ও বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের সহাবস্থানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার পড়েছে । আমাদের একযোগে পথচলাতে মানুষ অত্যন্ত খুশি হয়েছে। আগামীদিনে হিন্দু মহাসভা এবং বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের সংযুক্তি যে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে সেবিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।