
ওঙ্কার ডেস্কঃ উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে পুলিশকে গুলি করে পালিয়েছিল বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম।ঘটনার পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেছিলেন ওরা একটা মারলে আমরা চারটা মারব। ডিজির সেই হুমকিকে সফল করে শুক্রবার রাতে সাজ্জাক আলমকে এনকাউন্টারে খতম করল পুলিশ। বাংলাদেশে পালানোর সময় সীমান্ত এলাকায় পুলিশ সাজ্জাককে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়ালপোখরের লোধোন ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে ডাক্তাররা কোথায় কি অবস্থায় এনকাউন্টার হয় সে বিষয়ে পুলিশ কিছু জানায়নি। এ ব্যাপারে ইসলামপুর পুলিশ জেলা সুপার জবি থমাস কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে রায়গঞ্জ সংশোধনাগারে ফেরার সময়, গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাস থামিয়ে, দুই পুলিশকর্মীকে গুলি চালিয়ে আহত করে পালায় খুন ও ডাকাতির মামলায় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার চম্পট দেওয়ার ছবি। পুলিশ জানায়, কোর্ট লক আপে বন্দির হাতে আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দেয় অনুপ্রবেশ মামলায় জেলখাটা আরেক বাংলাদেশের নাগরিক আব্দুল হোসেন। ২ জনের সন্ধান পেতে ছবি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, গোয়ালপোখরে যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে, সীমান্ত পেরিয়ে হয়তো পালিয়ে গেছে সে।
কিন্তু বাংলাদেশী এই জঙ্গিকে এনকাউন্টারে খতম করে বাংলা তথা ভারতের পুলিশ প্রমাণ করে দিল ভারতের উপর আঘাত হলে চুপ করে থাকবে না ভারত।