
বাবলু প্রামানিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। সোমবার শিয়ালদহের রামলীলা ময়দানে আইএসএফের তরফে ওয়াকফ বিরোধী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন আইএসএফের কর্মী, সমর্থকরা। অভিযোগ, বাসন্তী হাইওয়েতে বৈরামপুরের কাছে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ।
এই নিয়ে সকাল সকাল ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। মাঝে পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ফের অশান্তি ছড়াল এলাকায়। আইএসএফ কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে হাতাহাতি বেঁধে যায়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। বাসন্তী হাইওয়ের ওপরই দু’পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার শুরু হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। তাতে একজন আইএসএফ কর্মীর মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। এরপরই বাসন্তী হাইওয়েতে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইএসএফের কর্মী, সমর্থকরা। সাংবাদিকদের একাংশের ওপরও আক্রমণ করা হয়েছে। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইঁটবৃষ্টি করা হচ্ছে। শোনপুর এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল পুলিশের পাঁচ পাঁচটি বাইকে।

মালদহ, মুর্শিদাবাদের পর ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল ভাঙড়ে। আইএসএফ-র উদ্যোগে রামলীলা ময়দান অভিযান শুরু করেছিল প্রতিবাদীরা। মিনাখাঁ, বাসন্তী, ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে আইএসএফ নেতা-কর্মীরা কলকাতা যাওয়ার জন্য রওনা দিলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বিক্ষভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাসন্তী হাইওয়ে।
লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল শোনপুর এলাকা। জানা গিয়েছে, বিক্ষুব্ধরা পাঁচ পাঁচটি পুলিশের বাইক আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ভেঙে ফেলা হয় একের পর এক গাড়ির কাচ।
এদিকে, শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত আইএসএফ-এর যে মিছিল হওয়ার কথা, তার অনুমতি নেই বলে শুরুতেই আটকে দিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, নওসাদও নাছোড়বান্দা। কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, দলের পতাকা না নিয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে যেন তাঁরা মিছিল করেন।