
আশীষ মন্ডল,বীরভূম: ছয় ফুটের মৃন্ময়ী প্রতিমা রাতের অন্ধকারে হয়ে গেল আট ফুট। বৃষ্টি ছাড়াই শুকনো পুকুর ভরে গেল জলে। এই অলৌকিক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের নলহাটি থানার জুঙ্গল গ্রামে। শুধু গ্রামবাসীরাই নন, মুখে মুখে ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামে ভিড় জমাচ্ছেন আশেপাশের গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে দিন কয়েক আগে জুঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা ছোটন আচার্য স্বপ্নাদেশ পেয়ে মা কালীর মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ে পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। সেই মতো বাড়িতে মৃত শিল্পী ডেকে মূর্তিও তৈরি করেন। সিদ্ধান্ত হয় গ্রামের মধ্যে জিতুয়া ষষ্ঠীর বেদিতেই মা কালীর পুজো করা হবে। পাঁচ ফুটের মূর্তি গড়া হলেও সেই মূর্তি রাতারাতি ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার হয়ে যায়।এছাড়া ও আরো অনেক অলৌকিক ঘটনার কথা জানালেন আচার্য পরিবারের সদস্য ছোটন আচার্য ।
এই ঘটনার পর থেকেই গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আশেপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন জুঙ্গল গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন মজুমদার বলেন, “আমাদের কাছে এটা অলৌকিক। এরকম আগে কখন দেখিনি। আমরা সব নিজের চোখে দেখলাম”।যদিও অলৌকিক ঘটনা বলে কিছু নেই বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞান মঞ্চের বীরভূম জেলা সম্পাদক দেবাশিস পাল। তিনি বলেন, “ঠাকুরের উচ্চতা নিজে থেকে বেড়ে উঠেছে এতা ঠিক নয়। ঠাকুরের মাহাত্ম্য প্রচার করতে এসব বুজরুকি ছড়ানো হচ্ছে। তবে পুকুরে জল কিভাবে ভরল সেটা গ্রামে গিয়ে না দেখলে বোঝা যাবে না। তবে অলৌকিক বলে কিছু নেই”।তবে সত্য ঘটনা যাই হোকনা কেন এই সব অলৌকিক ঘটনা নিয়ে সরগরম বীরভূমের নলহাটি গ্রাম।