
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা : রাজনীতি মানে নীতির লড়াই তা কে না জানে ! কিন্তু মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ‘নীতির বাইরে’ গিয়ে শুরু হয়েছে এক প্রেমের লড়াই। যার মঞ্চ খোদ বিজেপির পার্টি অফিস !
তৃণমূল কর্মী জিতেন রায় পেশায় একজন টোটো চালক। শান্ত সাদামাটা সংসার, দুটি ছোট সন্তান আর স্ত্রী শিউলি রায়কে নিয়ে তার জগৎ ছিল বেশ ঠিকঠাক। হঠাৎ করেই সেই জগৎ আজ তছনছ। অভিযোগ, কৈলাস নগরের বিজেপি পার্টি অফিসেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে স্ত্রী শিউলি রায়ের সঙ্গে বিজেপি নেতা জীবন দাসের। ফেসবুকে বন্ধুত্বের সূচনা, তারপর নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, একসময় তা গড়ায় প্রেমে। আর সেই প্রেম গড়ায় পলায়নে।
দিন কয়েক আগে নিখোঁজ হন শিউলি। জিতেন রায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য—স্ত্রী পালিয়েছেন জীবন দাসের সঙ্গে, যিনি নিজেও বিবাহিত এবং এক সন্তানের পিতা।
একদা ভালবাসার ফেসবুক পোস্টে ভরা সম্পর্ক, আজ বিশ্বাসঘাতকতার বিষাক্ত গন্ধে ভরা। শিউলির মা তো হতবাক ! মেয়ে যে এমন পদক্ষেপ নিতে পারে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে ফিসফাস। কেউ বলছেন, এ যেন ‘দল বদলের’ এক অন্য রূপ ! আবার কারও মত, “বিজেপি পার্টি অফিসে শুধু সদস্য নয়, প্রেমিকাও পাওয়া যায় এখন”।
এখন প্রশ্ন উঠছে—এটা কি নিছকই প্রেম ? নাকি রাজনৈতিক নাটকের একটি অধ্যায় ? হরিশ্চন্দ্রপুর থানা চুপচাপ, কিন্তু এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা। কেউ বলছেন, সংসার গেল, কেউ আবার বলছেন, “এটা তো ‘বিজেপি বনাম তৃণমূল’-এর পারিবারিক ফরমেট”।
পরিস্থিতি কোথা যাবে তা এখনই বোঝা মুশকিল। আপাতত কৈলাস নগরে প্রেমের এই ‘পলায়ন-কাণ্ডে’ দুই দলেই মুখোরচক দুর্যোগ। পার্টি অফিসে এবার কি প্রেমে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝুলবে ?
রাজনীতি আর প্রেম—দু’টোই মন দিয়েই করতে হয়। কিন্তু কার মন কাকে দেবে, তা আগে থেকে বলা ভারি মুশকিল !