
ত্রয়ণ চক্রবর্ত্তী: চাররাজ্যের নির্বাচনের ফল স্পষ্ট করে দিয়েছে, কংগ্রেস একক লড়াই জনমানসে সেভাবে আর দাগ ফেলছে না, অন্তত আসন সংখ্যায় স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফল প্রকাশের পর বিধানসভাতে বলেছিলেন,মানুষ হারেনি,হেরেছে কংগ্রেস। অর্থাৎ তাঁর মন্তব্যের ইঙ্গিত ছিল কংগ্রেস নমনীয় না হয়ে দাদাগিরি চালিয়ে যাওয়ার জন্যই এমন ফলাফল। ফল প্রকাশের পরপরই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। কোনও কোনও মহলের মতে,এর মধ্যে দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে সামনের লোকসভার আগে সদ্ভাব বাড়াতে চাইছে হাইকমান্ড। প্রশ্ন এরাজ্যে তবে কী হবে? বামেদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে কী তৃনমূলের দিকে এগাতে চাইছে কংগ্রেস। ইঙ্গিত কিন্তু রয়েছে তেমনই। ইতিমধ্যে বারবারই দেখা গেছে রাজ্যে থাকলে কলকাতার বদলে বেশিরভাগ সময় নিজের জেলা মুর্শিদাবাদে থাকছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বহরমপুর আসন নিয়ে চিন্তায় অধীর,সেইকারণেই কী জেলায় বেশি থাকছেন তিনি? জল্পনা চলছে। এর মধ্যে সুত্রের খবর, তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস হাইকমান্ডের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে আসন নিয়ে। তিনটি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে পারে তৃনমুল। তার মধ্যে রয়েছে অধীরের বহরমপুর,মালদা দক্ষিণ। এই দুটি আসনেই ২০১৯ সালে কংগ্রেস জিতেছিল। তৃতীয়টি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। এই আসনে এবারও প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি জায়া দীপা দাশমুন্সি। প্রসঙ্গত হিমাচল ও তেলেঙ্গানা দুই জায়গায় কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ছিলেন দীপা। দুজায়গাতেই জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। যদিও উত্তরবঙ্গের আরেকটি আসনের দাবি কংগ্রেস করতে পারে তবে তা তৃনমুল মানতে কীনা ঠিক নেই। হাইকমান্ডের সঙ্গে তৃনমূলের যে কথা হয়েছে তার ইঙ্গিত ইদানীং তৃনমুল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁছাছোলা আক্রমণ করতে বিশেষ দেখা যাচ্ছে না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। সব ঠিকঠাক চললে সামনের মাসে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পরই তৃনমুল- কংগ্রেস সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে তা যদি হয় সবথেকে অস্বস্তিতে পড়বে সিপিআইএম তথা বাম নেতৃত্ব। তবে সেই অবস্থা কিছুটা আন্দাজ করেই এখন থেকে সিপিআইএমের প্রথম সারির থেকে এরিয়া কমিটির নেতারাও সভা সমিতিতে কংগ্রেসকেও আক্রমণ করছেন।