
সুকান্ত চত্তপাধ্যায়,উত্তর ২৪ পরগনাঃ মহিলা বিএসএফ জওয়ানের সাহসিকতায় হাতেনাতে ধরা পড়ল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। উত্তর চব্বিশ পরগণা এবং মালদা জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ,১৫-ই জানুয়ারি মধ্যরাতে দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত একজন মহিলা বিএসএফ কর্মী চোরাকারবারিদের গরু নিয়ে সীমান্তের দিকে দ্রুত অগ্রসর হতে দেখেন। তৎক্ষণাৎ তিনি সহকর্মী জওয়ানদের সতর্ক করে দেন ও দ্রুত চালানকারীদের দিকে ছুটে যান। তাদের থামার জন্য নির্দেশ ও দেন।
কিন্তু তার সতর্কবাণী উপেক্ষা করে চোরাকারবারীরা লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে সীমান্তের কাটাতাঁরের দিকে আক্রমণাত্মকভাবে এগিয়ে যেতে থাকে। পরিস্থিতির বুঝতে পেরে মহিলা জওয়ান প্রথমে সতর্কতামূলকভাবে বাতাসে এক রাউন্ড গুলি চালান। গুলির আওয়াজ শোনার পরেও চোরাকারবারীরা যখন অবিচলভাবে এগিয়ে যেতে থাকে, তখন তিনি বাতাসে আরেক রাউন্ড গুলি চালান, যার ফলে চোরাকারবারীরা দ্রুত পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।কয়েকজন পালিয়ে গেলেও দুজন কে গ্রেফতার করা হয়। এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া দুটি গরু উদ্ধার করা হয়েছে।
দুজন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে এবং উদ্ধার করা গরুগুলিকে ই- ট্যাগ করার পর হস্তান্তর করা হবে ধ্যান ফাউন্ডেশনের হাতে। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন-“ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। যার ফলে, এই ধরনের পরিকল্পনাগুলি সফল হতে পারছে না”। অফিসার আরও বলেন যে- “আমরা কোনও অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান করতে দেব না”। এছাড়াও, অসাবধানতাবশত ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশকারী এক বাংলাদেশী যুবককে আটক করে সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে তুলে দেওয়া হয় বিজিবির হাতে । অন্যান্য অভিযানে ৬২০ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও ২২ বোতল ভারতে তৈরি বিদেশী মদ জব্দ করা হয়েছে, পাশাপাশি চোরাকারবারীদের কবল থেকে ৪টি গরুও মুক্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়।