
প্রতীতি ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা : সিএএ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা থামা তো দূর অস্ত, দিন দিন বেড়েই চলেছে. লোকসভা ভোট শুরু হওয়ার আগে একাধিকবার রাজ্য সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, ভোটের আগেই লাগু হবে সিএএ. হল ঠিক তেমনটাই. ভোট শুরু হওয়ার আগেই দেশজুড়ে কার্যকর হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন. সিএএ-র বিরোধিতা করে চড়া সুর শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়.
এবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের করা একটি সাংবাদিক সম্মেলন. যে সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অসমের এক যুবক রিপন দাস. রিপনের দাবি, বিজেপির কথায় এনআরসি-তে আবেদন করেছিলেন অসমের বহু হিন্দু বাঙালি. কিন্তু, বর্তমানে ১৩ লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম নেই এনআরসি-তে. ২৭ লক্ষ আধার কার্ডে নাম নেই আসামে হিন্দুদের। যাদের নাম নেই তাদের মধ্যে অধিকাংশই মতুয়া নমঃশূদ্র মানুষ।
এ বিষয় বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, বিজেপি জিতলে আসামের মত পরিস্থিতি এ রাজ্যেও হবে. তাঁর দাবি, এর পিছনে মদত দিচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর.
এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, তৃণমূলের কাজ মানুষকে ভাওতা দেওয়া। বিশ্বজিৎ দাস জানেন তিনি হারবেন, তাই তিনি বিভিন্ন পথ অবলম্বন করছেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চম দফায় ভোট রয়েছে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে. তার আগে সিএএ ইস্যুতে বিজেপি -তৃণমূলের এই আকছাআকছিতে ফের একবার সরগরম হয়ে উঠেছে বনগাঁ