
শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়ঃ ১৯৭২ সালের ২৮ জুলাই। কলকাতা পুলিশের হেড কোয়াটার লালবাজারে শহিদ হয়েছিলেন সিপিআইএম-এলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক চারু মজুমদারের। অভিযোগ পুলিশের নৃশংস অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। তারপর কেটে গেছে ৫২টা বসন্ত। তবু আজও ২৮ জুলাইকে শহিদ দিবস হিসেবেই পালন করে বিভিন্ন নকশাল গ্রুপ। এদিনও রাজ্য জুড়েই লিবারেশন সহ বিভিন্ন নকশালপন্থী সংগঠন পালন করল চারু মজুমদারের ৫২ তম মৃত্যু বার্ষিকি।
রাষ্ট্র ব্যবস্থার গোড়া ধরে টান মেরে ছিলেন তিনি। অবিভক্ত সিপিআইএমএলের প্রথম সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, নকশালবাড়ির বসন্তের বজ্র নির্ঘোষের পুরধা সেই চারু মজুমদারের আজ ৫২ তম মৃত্যু বার্ষিকি। এদিন শিলিগুড়িতে চারু মজুমদারের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চারু পুত্র তথা লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার। এছাড়াও এদিন নকশালবাড়ি, যাদবপুরের পালবাজার, গরফা, ঢাকুরিয়া, বেহালা, মৌলালি, কলেজ স্ট্রিট, রাণাঘাট, কৃষ্ণনগর সহ রাজ্য জুড়েই লিবারেশন সহ বিভিন্ন নকশালপন্থী সংগঠন পালন করল চারু মজুমদারের ৫২ তম মৃত্যু বার্ষিকি। বিহার, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশেও পালিত হয় চারু মজুমদারের ৫২ তম শহিদ দিবস।
সময় বদলেছে। খতমের রাজনীতি ছেড়ে লিবারেশনের মতো অনেক নকশালপন্থী সংগঠনই আজ অংশগ্রহণ করছে নির্বাচনে। বিহারে ১২ টি আসন নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও মোদি বিরোধী জোটে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন লিবারেশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
আজও নকশালপন্থীদের একটা বড় অংশ শহিদ দিবস উপলক্ষে পালন করেন ২৮ জুলাইকে। শপথ নেন বিপ্লবের, রক্ত ঋণ শোধ করার। গঙ্গা দিয়ে ৫২ বছরে অনেক জল বয়ে গেলেও বিপ্লবের স্বপ্ন যে মরে না।