
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়িঃ ডিসেম্বর মাস মানেই মেলা, উৎসব, কার্নিভাল। বড়দিনের পর অপেক্ষা নতুন বছরের। গ্রাম থেকে শহর চারিদিকে আলোর রোশনাই। আনন্দে গা ভাসিয়েছে বঙ্গবাসী। এর মধ্যেই জলপাইগুড়ি শহরে আয়োজন করা হয় ক্রিসমাস কার্নিভাল।
দুর্গাপুজোর কার্নিভালের পর এবার বড়দিনের কার্নিভাল। সরকারি উদ্যোগে কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হল শহর জলপাইগুড়িতে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িরতে ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল কার্নিভাল উদযাপন হয়। মূল উদক্তা ছিল ফ্রেন্ডস ব্যাপ্টিস চার্চ।
এদিন জলপাইগুড়ির সমাজ পাড়ার আই এম এ ময়দান থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। অংশ নেন সমাজের বিশিষ্ঠ জনেরা। অংশগ্রহণ করে জলপাইগুড়ি শহর সহ চা বাগান এলাকার চার্চের প্রতিনিধিরা। শোভাযাত্রাটি জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ফ্রেন্ডস ব্যাপ্টিস্ট চার্চে এসে শেষ হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক সামা পারভিন, মহকুমা শাসক তমোজিত চক্রবর্তী, বিধায়ক খগেশ্বর রায়, প্রদীপ কুমার বর্মা, পুর প্রধান পাপিয়া পাল, সহ বিভিন্ন চার্চের পাস্টার ও ফাদারেরা। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, তিস্তা বঙ্গে পর্যটন প্রসারে ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল কার্নিভাল। দেশের পর্যটন মানচিত্রে জলপাইগুড়ি তথা ডুযার্সের নাম থাকলেও বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
অনুষ্ঠানে ছিল দারুণ চমক। প্রতিটি চার্চের প্রতিনিধিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে যিশুর গান, নাটক পরিবেশন করেন। তাদের এই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে মানুষের ঢল নামে চার্চ প্রাঙ্গণে। জলপাইগুড়ি পুরসভার পুর প্রধান পাপিয়া পাল বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তার ছবি এই রাজ্যে দেখা যায়।