
ওঙ্কার ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে উত্তাল মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। দফায় দফায় বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, পথ অবরোধ এবং অগ্নিসংযোগের জেরে জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল অস্থিরতা। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার গঠন করল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। প্রশাসনের দাবি, দোষীদের খুঁজে বের করতেই এই বিশেষ পদক্ষেপ।
পুলিশ সূত্রের খবর, SIT-র মোট সদস্য সংখ্যা নয়জন। এই দলে রাজ্য পুলিশ, জেলা পুলিশ, সিআইডি, এসটিএফ এবং গোয়েন্দা দফতরের অভিজ্ঞ আধিকারিকরা রয়েছেন। তাঁদের কাজ হবে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক সমস্ত হিংসাত্মক ঘটনার গভীর তদন্ত করা এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Amendment Act) পাস হওয়ার পর থেকেই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ ও সুতি থানা এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে। পুলিশের দাবি, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বুধবার থেকে নতুন করে কোনও বড় গোলমালের খবর মেলেনি। তবুও ঘটনাকালীন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
বিশেষত, সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। অনেকে বলছেন, প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম মঙ্গলবার বলেন, “এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে SIT গঠনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীদের একাংশের দাবি, হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানির আগে তড়িঘড়ি SIT গঠন করে তদন্তের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতেই এই উদ্যোগ রাজ্যের। পাশাপাশি, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কাও করছেন তারা। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এর মধ্যেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশন মুর্শিদাবাদের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিজেদের তরফে পৃথক তদন্তকারী দল পাঠানোর কথা জানিয়েছে। হাইকোর্টেও আগামী বৃহস্পতিবার এই বিষয়ক মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা।
রাজ্য রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই এই অশান্তির ছায়া পড়তে শুরু করেছে। বিরোধীরা একদিকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা