
সুমিত চৌধুরী: ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে আচমকাই প্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে বাম কংগ্রেস জোট। সমস্ত সংসদীয় নির্বাচনের পণ্ডিতরা প্রথম থেকে পশ্চিমবঙ্গে বাইনারি ভোটের তত্ব প্রচার করে আসছিলেন। কিন্তু প্রচলিত ধারণার ছক ভেঙ্গে এবার অন্তত ১৫ টি কেন্দ্রে বাম কংগ্রেস প্রার্থীরা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন। অন্তত চারটি আসনে বাম এবং কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ের আশা করছেন তাদের আভ্যন্তরীণ হিসেব নিকেশে।
তার মধ্যে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে মহম্মদ সেলিম এবং বহরমপুর কেন্দ্রে অধীরের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে প্রথম চার দফা ভোটের পর।
পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই প্রথম বাম কংগ্রেস জোটের ফিরে আসার এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ছটা জেলায় বাম এবং কংগ্রেস জোটের মোট ভোট বিজেপির থেকে বেশি ছিল
তবে শুধুমাত্র বিজেপির ঘর থেকেই যে বাম কংগ্রেসের ভোট ফেরত আসছে তা নয় সংখ্যালঘু এলাকা তো বাম কংগ্রেস জোট থাবা বসাচ্ছে। যার ফলে তৃণমূলের ভোট ব্যাংকে হাত পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রায়গঞ্জে ভিক্টর, বীরভূমে মিল্টন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে এসএম সাদী সংখ্যালঘু এলাকাতে ভোটে ভাগ বসাচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। মালদা দক্ষিনে ইশা খান কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে বাজিমাত করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে শূন্যে পরিণত হয়ে যাওয়া বাম কংগ্রেস জোট আচমকা বহু কেন্দ্রে প্রবলভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন। যে তিন-চারটি কেন্দ্রে বাম কংগ্রেস জোট জয়ের সম্ভাবনা দেখছে সেগুলি বাদ দিলে বাকি অনেকগুলি কেন্দ্রে যেগুলো মূলত দক্ষিণবঙ্গের বাম এবং কংগ্রেস প্রার্থীর মিলিত জোটে প্রার্থীদের ভোট ১৫ থেকে ২০ শতাংশে উঠে আসবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। রাজনীতির অন্দরমহলের খোঁজখবর রাখেন এমন লোকজনের বক্তব্য, দমদম বা যাদবপুরে জোট প্রার্থীরা যেরকম ভোট পাবেন তাতে অনেক হিসেব এলোমেলো হয়ে যাবে।