
ওঙ্কার ডেস্ক: স্ত্রীকে খুন করে স্যুটকেসে দেহ ভরলেন এক তথ্য প্রযুক্তি কর্মী। খুনের পর ওই অভিযুক্ত পালিয়ে যায় পুণেতে। সেখানে বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে সে। খুনের ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর দোদ্দাকন্নাহাল্লি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহিলার নাম গৌরী অনিল সাম্বেকর (৩২)। অভিযুক্তের নাম রাকেশ রাজেন্দ্র খেদেকর (৩৬)। দুজনেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। গত এক বছর ধরে ওই দম্পতি বেঙ্গালুরুতে থাকছিলেন। খবর অনুযায়ী, বুধবার রাতে দুজনেই নৈশভোজ সারছিলেন। তখনই দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার মাঝে গৌরী আচমকা রাকেশকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এরপর প্রতিশোধ নিতে গৌরীর কাছ থেকে ছুরি ছিনিয়ে নিয়ে রাকেশ তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই গৌরীর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার। এদিন গৌরীর মৃতদেহ বাড়ির একটি স্যুটকেসের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। ফরেনসিক রিপোর্ট অনুসারে, নিহত মহিলার ঘাড়ে এবং পেটে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ আট থেকে দশ টুকরো করা হয়।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (দক্ষিণ-পূর্ব) সারা ফাতিমা এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘এই দম্পতি মহারাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন। এক বছর আগে বেঙ্গালুরুতে আসেন। স্যুটকেসে মৃতদেহটি উদ্ধারের পর বাড়ির মালিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করেছিলেন। নিহত মহিলা মাস মিডিয়াতে স্নাতক পাশ করেছিলেন।’ ওই পুলিশকর্তা আরও জানান, ‘অভিযুক্ত একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। তিনি বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পর রাকেশ গৌরীর বাবা-মাকে ফোন করে নিজের কৃতকর্মের কথা জানায়। এরপর নিহতের বাবা-মা তাৎক্ষণিকভাবে মহারাষ্ট্র পুলিশকে খবর দেয়। এরপর মহারাষ্ট্রের পুলিশের তরফে কর্ণাটক পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ বলেন, ‘দাম্পত্য কলহের কারণে এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।’
এদিকে স্ত্রীকে খুনের পর পুণেতে পালিয়ে যায় রাকেশ। তার কল ডিটেইল খতিয়ে দেখে এবং ডিজিটাল নজরদারি চালিয়ে খুঁজে বের করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। বর্তমানে পুণের হাসপাতালে ওই অভিযুক্ত চিকিৎসাধীন।