
স্পোর্টস ডেস্ক : নর্থ ইস্ট ম্যাচে গুয়াহাটিতে হার ইস্টবেঙ্গলের। ৩-২ গোলে হারলেও প্রথম ১৫ মিনিটে ২ গোল খেয়ে গিয়েই বেকায়দায় পড়ে যায় লাল হলুদ ব্রিগেড। আর এরফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। এদিন ম্যাচের শেষে কুয়াদ্রাত জানালেন,’আজ কোনও কিছু নিয়েই আমি খুশি হতে পারছি না। কোনও ম্যাচে তিন গোল খেলে সেই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট বের করে আনা খুবই কঠিন। আমাদের রক্ষণকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য অনেক কিছু করি আমরা। এটাই দলের একটা ইতিবাচক দিক ছিল। এই জন্যই দলের ছেলেদের ওপর আমি খুব রেগে গিয়েছি।
এত খারাপ শুরু হল ম্যাচটা! নর্থইস্ট সঙ্ঘবদ্ধ থেকে প্রতি আক্রমণে ওঠার পরিকল্পনা ছিল। আমরা শুরুতেই ওদের কাজটা সহজ করে দিলাম! ওরা যে এই পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামবে, তা আমাদের জানাই ছিল। কিন্তু এ ভাবে পরপর দু’গোল খাওয়া মোটেই উচিত হয়নি।আমরা এই ম্যাচের শুরুতেই দুটো গোল হজম করেছিলাম । সেকারণে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করাও আমাদের কাছে বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। ম্যাচের হাফটাইমে আমি দলের ফুটবলারদের বলি, যদি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আমরা একটা গোল করে ফেলতে পারি, তাহলেও এই ম্যাচে কিছুটা অক্সিজেন বেঁচে থাকবে।’
আইএসএলে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা অস্ট্রেলীয় ফরোয়ার্ড টমি জুরিক ও স্প্যানিশ মিডফিল্ডার নেস্টর আলবিয়াখই এ দিন গুয়াহাটির দলকে আট ম্যাচ পরে জয় এনে দেন। নন্দকুমার শেখর ও নবনিযুক্ত জার্মান ফরোয়ার্ড ফেলিসিও ব্রাউন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান কমালেও শেষ পর্যন্ত সমতা আনতে বা জেতাতে পারেননি তাঁরা। কলকাতা ডার্বি এক সপ্তাহ আগে হয়ে গেলেও এ দিন ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স দেখে মনে হয় ডার্বির ‘হ্যাঙওভার’ তাদের এখনও কাটেনি। বিশেষ করে তাদের রক্ষণ এ দিন অপ্রত্যাশিত ভাবে ব্যর্থ হয়।
এছাড়া কুয়াদ্রাত জানালেন,’দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা আমরা নেহাতই মন্দ করিনি। ইস্টবেঙ্গল দলের প্রত্যেকটা ফুটবলারই নিজেদের সাধ্যমতো লড়াই করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, ওদের নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডতৃতীয় গোলটাই এই ম্যাচের ফারাক গড়ে দিয়েছে। এই ম্যাচে ১৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিলাম। এটা অবশ্যই একটা বিপর্যয়। তবে আমাদের হাতে প্রত্যাবর্তন করার জন্য অঢেল সময় ছিল। আমি জানতাম, দ্বিতীয়ার্ধে গোল আসবেই এবং এক গোলে ওদের চাপে ফেলতে পারব। এছাড়া ফেলিসিওকে নিয়েও আলাদা পরিকল্পনা ছিল। বিপক্ষের বক্সে কীভাবে ওকে বল দেওয়া যায়, কিন্তু, ওদের তৃতীয় গোলটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল।’