
স্পোর্টস ডেস্ক: ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসের দিন সুব্রত ভট্টাচাৰ্যর আত্মজীবনি ষোলোআনা বাবলু আত্মজীবনি উদ্বোধনের মঞ্চে ইস্টবেঙ্গলের লাল হলুদ উত্তরীয় পড়েন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়। কিন্তু রবিবার মোহনবাগানের দিবসের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে দেবাশিস জানান,’কেউ কেউ দেখছি বিতর্ক করছে প্রশ্ন তুলছে কেন আমি লাল হলুদ উত্তরীয় পড়লেন। ওদের ক্লাবের দেবব্রত সরকার আর সহ সচিব আসেন আমাদের ক্লাবে। মোহনবাগানের সৌজন্যতা আর সৃস্টাচার ভারতবর্ষর ফুটবকে পথ দেখায় আমরা কাউকে অসহযোগিতা করতে পারি না। ওরা লাল হলুদ পতাকা আমাকে পড়িয়ে গৌরবানিত হয়েছে। মোহনবাগানকে পড়িয়ে মনে করল বড় কাউকে পড়ালাম। আমাদের ক্লাবের সম্মান বাড়লো। আমি মনে করি মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল একে অন্যের পরিপূরক। ওরাও একটা বড় প্রতিষ্টান। এখন ৮-৯ বার হারছে সেটা আসতে আসতে ঠিক হয়ে যাবে।’মহরমের জন্য এবার দুই ভাগে এই দিবস পালিত হল। শনিবার সুব্রত ভট্টাচার্যের আত্মজীবনী ‘ষোলো আনা বাবলু’র উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রাক্তনদের ম্যাচ আয়োজিত হয়। রবিবার ছিল পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ‘মোহনবাগান রত্ন’ সম্মান পান বাংলার বেকেনবাওয়ার গৌরম সরকার।শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের থেকে এই সম্মান পেয়ে উল্লসিত। গৌতম সরকার বলেন, ‘ব্যাখ্যা করার ভাষা নেই। আমি কোনও কিছু পাওয়ার জন্য করিনি। ফলের আশা করিনি। মানস, বিদেশ আমার পাশে না থাকলে এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না। সাফল্য পেতে স্বপ্ন, ইচ্ছে এবং দৃষ্টি দরকার। শেষ জিনিস স্ট্যামিনা।দক্ষতার থেকেও ইচ্ছাশক্তি থাকা দরকার। এই দুর্লভ সম্মান পেয়ে দারুণ লাগছে। আমি ছোটবেলা থেকে মোহনবাগান ফ্যান। অনেকেই জানে না আমি ইস্টবেঙ্গলের থেকে মোহনবাগানে বেশি খেলেছি। লাল হলুদে ৬ বছর খেলেছি, মোহনবাগানে ৭ বছর। এই প্রতিষ্ঠানের একটা অভিজাত্য আছে। তাই এই সম্মান পেয়ে দারুণ লাগছে।’