
পূর্ব মেদিনীপুর, প্রদীপ মাইতি : দিঘা নন্দকুমার জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই এলাকার পাঁচজনের। এছাড়াও আরো চারজন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতলে চিকিৎসাধীন । হাসপাতাল সুত্রে খবর ওই চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ।
উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে ট্রেনে চেপে তমলুক স্টেশনে নেমে ওই যাত্রীরা একটি অটোয় চেপে কাঁথির দিকে আসছিলেন। পথে ১১৬ বি জাতীয় সড়কে মারিশদা থানার ইরিঞ্চি ব্রিজের কাছে অটোটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সকলেই কাঁথি দু’নম্বর ব্লকের চালতি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
স্থানীয় সুত্র মারফত জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে দিল্লিগামী ট্রেনে করে তমলুক রেল স্টেশনে নামেন একদল যাত্রী । কাঁথি স্টেশনে আগে থেকেই ওই একদল যাত্রীদের জন্য একটি অটো অপেক্ষা করছিল।ওই যাত্রীর দল ট্রেন থেকে নামার পরেই অটোতে চেপে কাঁথির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ভোরের দিকে অটোটা মারিফটা থানার ইরিঞ্চি ব্রিজের কাছে পৌঁছে বাম্পার পেরোনোর সময় একটি ট্রাক প্রচন্ড গতিতে অটোর পিছনে এসে ধাক্কা মারে। অটোটি ধাক্কা সামলাতে না পেরে উল্টে যায়। তখন উল্টো দিক থেকে আশা আর একটি ট্রাকের মুখে ধাক্কা খায়। তার জেরে অটোর ভিতরে থাকা যাত্রীরা দুমড়ে মুচড়ে অটোর ভিতরেই আটকে পড়েন।
এই ঘটনার খবর পেয়েই মারিশদা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরে অটোটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং এরপর অটোর ভেতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অটোর চালক সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তার সঙ্গে গুরুতর যখন অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে। চারজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই ঘাতক প্রার্থীকে আটক করেছে মারিশদা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শেখ মতি সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দিল্লিতে কাজের সুত্রে থাকতো। দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দেয় তারা। সেই কারণেই আগে থেকে অটো ভাড়া করে হুমেরা বেবি সহ পরিবারের দুজনও সদস্য তাদের আনতে তমলুকে রওনা দিয়েছিল। তমলুক থেকে অটো করে আটজন কাছের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তারপরই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অটো উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পর অটোচালকসহ নজরুলকে উদ্ধার করে হেঁড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের গুলিস্থানেও একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে মৃত ব্যক্তিরা হল কাঁথি রঘুরামপুরে অটোচালক শেখ জাহাঙ্গীর আলী। বাকি চার জন কাঁথির চালতি গ্রামের শেখ মতি, তার মেয়ে মুনমুন খাতুন, ফাসানা বিবি, ও হুমেরা বিবি। মারিশদা থানার পুলিশ চালিয়েছে বুধবার পাঁচজন নিমৃত দেখো, ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।