
ওঙ্কার ডেস্ক : বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি কে? তা নিয়ে এখন জোর জল্পনা বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপর আবার কি আস্থা রাখবেন নাকি নতুন কোন মুখ চাইছেন ‘অমিত-নমোরা’। এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যেই। এই পরিস্থিতিতে আবার স্বমহিমায় রাজনীতিক ময়দানে নেমে পড়েছেন বিজেপির প্রাক্তন সেনাপতি দিলীপ ঘোষ। শুধু ফেরা নয়। পুরোনো মেজাজে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই জনসংযোগ সারছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। কখনও ‘দা’ হাতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করছেন। আবার কখন দাবি করছেন তিনি নিজেই একাই একশো। তাকে দলে কেউ কোনঠাসা করতে পারবে না। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে আবার কার্যত আচমকা সবাইকে চমকে দিয়ে রাজনীতির পিচে ওভার বাউন্ডারি মার্কা বক্তব্য রাখছেন স্বঘোষিত ঠোঁটকাটা দিলীপ। তাহলে কী বঙ্গ বিজেপির সেনাপতি পদে ফের ফিরছেন তিনি ! এই প্রশ্ন ও উঠতে শুরু করেছে। দিল্লীর নির্দেশে কি তিনি মাঠে নেমেছেন ?
নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন খোদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, এই সময় এমন কাউকে সভাপতি করা দরকার যিনি জঙ্গি আন্দোলন করতে পারবেন। আন্দোলনের জোয়ারে বাংলায় পালাবদল ঘটাতে পারবেন। দিলীপের কথায়, হয়তো এই সব বিষয় বিবেচনায় রেখেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য সভাপতি বাছাইয়ে সময় নিচ্ছে। রাজ্য সভাপতি কেমন হওয়া দরকার ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখুন। তিনি আন্দোলন করে সরকার বদলে দিয়েছেন। এত বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি মাঠে নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধী নেত্রীর মতো। দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের পর অনেকে বলছেন তাহলে কি দিলীপ ঘোষ ঘুর পথে বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ? যদিও এমনটাই মানতে নারাজ বিজেপির বহু নেতা-কর্মী। তাহলে দিলীপ ঘোষ কি রাজ্য সভাপতি হতে চান ? এই প্রশ্নের সপাট জবাব দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ নিজেই। তিনি বলেন, বিজেপিতে চাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। দল মনে করলে দায়িত্ব দেবে। দায়িত্ব দিলে পালন করব।, বাংলায় বিজেপির ৪০ শতাংশ ভোট আছে। ক্ষমতা দখল করতে চাইলে মোড় ঘোরানো ভোট দরকার। তার জন্য চাই জঙ্গি আন্দোলন। সেটা যিনি করতে পারবেন এমন কাউকে রাজ্য সভাপতি করা দরকার। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শিক্ষবিদ ? মানুষ কি তাঁকে বিদ্যান, সজ্জন বলে গ্রহণ করেছেন ? তিনি লড়াই করেন বলে মানুষ ভোট দিচ্ছে। তিনি লড়াই করে জায়গা তৈরি করেছেন।
নেতার গুণাবলীর প্রসঙ্গে দিলীপ বিজেপির প্রাক্তন কয়েকজন রাজ্য সভাপতির নাম নিয়েছেন। তিনি বলেন, বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী, তথাগত রায়েরা উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। কিন্তু বিজেপির ভোট চার শতাংশের বেশি ওঠেনি। উচ্চশিক্ষিত হলে অনুগামীরা ভোট দিতে পারে। সাধারণ মানুষ কেন দেবেন ? তারা দেখেন নেতা তাদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন করেন কিনা। শিক্ষিত নেতা সম্পর্কে মানুষ মনে করে, তোমার শিক্ষা তোমার কাছে রাখো। তুমি শিক্ষিত তো আমার কী এসে গেল তাতে ! তাই তাঁর সাফ কথা, ’আমি কী করেছি সবাই জানেন। আমি মনে করি, আন্দোলন ছাড়া রাস্তা নেই।’