
প্রদীপ মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর: চার বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল টিউশান মাস্টারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের শিমুলকুন্ডু গ্রামে। বাচ্চাটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। তৎক্ষণাৎ বাচ্চাটিকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং সন্দেহভাজন টিউশান শিক্ষক সঞ্জয় পতি সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ার কাঁটাখালি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় পতি পেশায় শিক্ষক। শিমূলকুন্ডু গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নয় বছরের এক শিশুকে পড়াতে যেত সে । শুক্রবার দোলের দিন সকালেও পেশার তাগিদে ওই শিশুর বাবা ও মা খুব ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। মনে করা হচ্ছে সেই সুযোগে খুব সকালে ওই বাড়ির দরজার চাবি খুলে চার বছরের শিশুটির মুখে কাপড় গুঁজে অপহরন করে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে চলে যায়। অপহরণ করার সময় নয় বছরের মেয়েটির হাত পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল বলে জানা যায়। তারপরেই নয় বছরের শিশুটি চিৎকার করে সবাইকে এই ঘটনার বিষয়ে জানালে চারিদিকে চাঞ্চল্য পড়ে যায়। এর জেরেই অভিযুক্তরা ভয়ে বাচ্চা সহ ট্রলি ব্যাগটি নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ঘোলপুকুরিয়ার কাছে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে পাকড়াও করে পুলিশ। অভিযুক্ত টিউশান শিক্ষক সঞ্জয় পতির দাবী, “আমি ওই বাচ্চার বাবাকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলাম। সেই টাকা কিছুতেই উদ্ধার হচ্ছিল না। তাই চাপ দিতেই এক বন্ধুর পরামর্শ মতো ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে তাকে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে পালাই”। তাছাড়াও অভিযুক্ত জানায় ” আমাদের পরিকল্পনা ছিল বাচ্চাটিকে বাড়িতে আটকে রেখে টাকা আদায় করে নেব। এছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না।” নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, বাচ্চাকে অপহরণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কি কারণে এই অপহরণ তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।