
উজ্জ্বল হোড়,জলপাইগুড়ি: একসময় গ্রামবাংলায় যে দৃশ্য প্রায়শই দেখা যেত , দীর্ঘ সময় পর সেই বিরল দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার রেল পথের ধারে।একটি মৃত গবাদি পশুকে ঘিরে ভুরিভোজে মেতে ছিল হিমালয়ের শকুনেরা। আর এই হিমালয়ান ভালচারের ভুরিভোজ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষেরা। দীর্ঘ দিন পর এত সংখ্যায় শকুন দেখতে পাওয়ায় খুশি বনবিভাগ এবং পরিবেশ কর্মীরা।
এই বিষয়ে বার্ডস ওয়াচার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বপ্রিয় রাউত বলেন যে শকুন গুলিকে দেখা গেছে সেগুলি হল হিমালয়ান ভালচার।এগুলিকে মূলত হিমালয়ের পার্বত্যাঞ্চলে দেখা যায়।তবে শীত কালে পাহাড় বরফ পড়ার জন্য খাদ্য আরোহণ করতে সমস্যা হয়।তাই এইসময়ে তারা সমতল নেমে আসে।
উল্লেখ্য মৃত গবাদি পশু খেয়েই বেঁচে থাকে পরিবেশের উপকারী শকুন।কিন্তু একসময় পশুচিকিৎসায় ব্যবহৃত হত ডাইক্লোফেনাফ ও কেটোপ্রোফেনের মত কিছু ওষুধ।এই ওষুধ পশুর দেহ থেকে শকুনির দেহে গিয়ে ভয়ানক ক্ষতি করত। ঐ সব ওষুধের প্রভাবে লক্ষ লক্ষ শকুনের মৃত্যু হয়। এরফলে প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যায় শকুনেরা।তবে বর্তমানে ওই সব ওষুধ নিষিদ্ধ করে,শকুনের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছে সরকার ও বনবিভাগ।