
ওঙ্কার ডেস্ক : ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পন্যের উপর অতিরিক্ত হারে শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা আগামী ৯ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে বলে জানা যাচ্ছে। নয়া এই শুল্কনীতি শোনা মাত্রই মাথায় হাত পড়েছে সমগ্র ব্যবসায়ি সমাজের। বিশ্বজুড়ে শেয়ার মার্কেটের হাল বেহাল তার উপর ট্রাম্পের এই ঘোষণা যেন চিন্তার মুকুটে নয়া পালক। একদিকে যেমন ধুকছে শেয়ার বাজার অন্যদিনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রয়েছেন খুশ মেজাজে। শেয়ার বাজারের বেসামাল দশার দায় কিছুতেই নিতে চাইছেন না নিজের ঘারে।
রবিবার নয়া শুল্কনীতি বিষয়ে ট্রাম্প জানান- “শেয়ার বাজারের কী হবে, আমি সেটা বলতে পারব না। কিন্তু আমাদের দেশ অনেক বেশি শক্তিশালী।’’ তাছাড়াও তিনি বলেন, “শেয়ার বাজারকে আমি নিয়ন্ত্রণ করছি না এবং করতেও চাইছিনা। আমি চাই না কোনও বাজারে ধস নামুক বা কোনও প্রকার ক্ষতি হোক। যা ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল আমি সেটাই দিয়েছি। তা কাজও করছে”।
মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্থা জেপি মর্গ্যান জানিয়েছে, “২০২৫ সালেই খারাপ সময়ের মুখোমুখি হতে চলেছে আমেরিকান অর্থনীতি। গোটা বিশ্ব ৬০ শতাংশ পর্যন্ত লোকসানের সম্মুখিন হতে চলেছে। চিন বদলার সুরে পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা ইতিমধ্যেই ঘোষনা করেছে পাশাপাশি কমিয়ে দিয়েছে রফতানি”। চিন ও আমেরিকার তৎকালীন পরিস্থিতিতে আমেরিকা জানিয়েছে, আমদানি রফতানির বিষয়টি ঠিক না করা হলে চিনের সঙ্গে আমেরিকা কোনও প্রকারের সমঝোতা করবে না। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ গুলি শুল্ক কমানোর জন্য দর কষাকষি শুরু করে দিয়েছে।