
স্পোর্টস ডেস্ক : শনিবার নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল। তবে গুয়াহাটিতে নামার আগেও ডার্বিতে রেফারির সিদ্ধান্ততে ম্যাচ ড্র কিছুতেই ভুলতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। এদিন তিনি জানালেন,’সায়নকে যে ভাবে ফাউল করা হয়েছিল তাতে দিমিত্রিকে কার্ড দেখাতে পারতেন, কিন্তু রেফারি তা করেননি। এ ভাবে ফুটবলের উন্নতি হয় না।” এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “প্রত্যেকটা দল নকআউটে ওঠার জন্য লড়াই করছে। সেখানে রেফারির একটা কার্ড’ও বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে।’ তবে কুয়াদ্রাত জানালেন,’প্লে অফের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য আমরা অনেক কিছু করছি। অনেক চেষ্টা করছি। প্রতি গেমেই জেতার সুযোগ পেয়েছি আমরা। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আরও বেশি পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু পাইনি, কখনও নিজেদের ভুলে, কখনও অন্যের ভুলে।
আমরা আমাদের পরিকল্পনা বজায় রাখব। আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে আমাদের। এ পর্যন্ত ২২টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র চারটিতে হেরেছি আমরা। কারণ. আমাদের দল শক্তিশালী। কিন্তু আক্রমণে আমরা কিছুটা দুর্বল হয়ে আছি। যথেষ্ট পরিমানে গোল পাইনি আমরা। ফারাকটা এই জন্যই তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই ম্যাচের শেষ দিকে আমাদের এক গোলের ব্যবধান নয়, দু-তিন গোলের ব্যবধান তৈরির চেষ্টা করতে হবে”।
কুয়াদ্রাত আরও বলেন, “আমরা এমন একটা দল গড়ার চেষ্টা করছি, যারা আইএসএলের উচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। আমরা এখন পর্যন্ত দু’টো ফাইনালে উঠেছি এবং দেখাতে পেরেছি যে, মোহনবাগান , মুম্বই সিটি এফসি ও ওডিশা এফসি-র মতো চ্যাম্পিয়ন টিমগুলোকেও আমাদের দল সমস্যায় ফেলতে পারে”।
গোলের অভাব মেটানোর জন্যই যে নতুন দুই বিদেশী ফেলিসিও ব্রাউন (স্ট্রাইকার) ও ভিক্টর ভাজকেজকে (মিডফিল্ডার) নিয়ে এসেছেন বলে জানান ইস্টবেঙ্গল কোচ। বলেন, “গোলের অভাবের জন্যই কয়েকজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছি আমরা। যেমন ভিক্টর ও ফেলিসিওকে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, ওরা আমাদের আরও বেশি গোল দিতে পারবে, আমাদের গোলের খরা মেটাবে। সায়ন ও বিষ্ণুর মতো তরুণদেরও তুলে ধরার চেষ্টা করছি, যাতে ওরা আক্রমণে আরও সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।’