
স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী বছর ভালো বড় বাজেটের দল তৈরী করতে তৎপর ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু হয়ে গেলো।সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় পরে টিমের বাজেট বাড়াচ্ছে ইমামি। একই সঙ্গে ক্লাবও তৈরি কয়েকটি স্পনসর তুলে এনে টিম বাজেটে সাহায্য করতে। ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেট টিমকে স্পনসর করছে সাঁচি গ্রুপ । সামনের মরসুমে এই গ্রুপ ফুটবল টিমেও টাকা দেবে ।এছাড়া রেলের সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক একটি সংস্থা স্পনসর হিসেবে থাকবে । কর্তা ক্রাউডফান্ডিং করতে পরের সপ্তাহে উত্তরবঙ্গতে যাবেন যেহেতু ভালো সারা মিলেছে। সবাই চাইছে কম বাজেটে দল নিয়ে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হলে দলের বাজেট বাড়লে ক্লাব আইএসএলেও ভালো পারফরমেন্স করবে।শনিবার ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ ।মাত্র ১২ পয়েন্ট নিয়ে কার্লস কুয়াদ্রাতের দল এখন লিগ টেবলের দশ নম্বরে। ১৩ ম্যাচে এই ১২ পয়েন্ট অর্জন করেছে ইস্টবেঙ্গল । ছ’নম্বরে থাকা জামশেদপুর এফসি-র সঙ্গে তাদের পাঁচ পয়েন্টের ফারাক এবং ক্লেটন সিলভারা যেখানে ১৩টি ম্যাচ খেলেছে, সেখানে ইস্পাতনগরীর দলের ১৬টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ইস্টবেঙ্গল সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে। আসন্ন ম্যাচগুলিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে তারা ছ’নম্বরে থেকে লিগ শেষ করতে পারে। তাই বাস্তববাদী কার্লস কুয়াদ্রাতের নজর এখন ওই জায়গাটাতেই আটকে।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “জানুয়ারিতে আমরা বহু বছর বাদে একটা সাফল্য পাই। কিন্তু তার পর থেকে হঠাৎ সব কিছু বদলে গেল। এখন আমাদের মূল জায়গায় ফিরে যেতে হবে এবং লিগের শেষ ন’টি ম্যাচের জন্য নিজেদের সঠিক প্রস্তুতি নিতে হবে। যাতে আমরা আরও পয়েন্ট পাই এবং ছ’নম্বর জায়গাটা পাকা করতে পারি। জানি, ওই জায়গাটার জন্য ছ’টা দল লড়াই করছে। তবে আমাদের এখন এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই”।
কিন্তু প্লে অফে পৌঁছতে গেলে আর কত পয়েন্ট প্রয়োজন, সেই হিসাব এখনও করে উঠতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের কোচ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাই না। তবে অমীমাংসিত ম্যাচগুলোই ফারাক গড়ে দেবে। এখন আমাদের প্রত্যেকের কাছেই প্রতিটি ম্যাচ ফাইনালের মতো। পাঞ্জাব পরপর দুটো ম্যাচ জিতে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। জামশেদপুরও হঠাৎ দুটো ম্যাচ জিতে সেরা ছয়ে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন প্রতিটি ম্যাচেই খুব চাপ থাকবে। এখন কারা বেশি ম্যাচ জিতবে এবং ভাল গোল পার্থক্য বজায় রাখতে পারবে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপরই সব কিছু নির্ভর করবে”।