
স্পোর্টস ডেস্ক :সুপার কাপের ফাইনালে পৌঁছে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার জামশেদপুর এফসি’র বিরুদ্ধে সহজ জয় তুলে নিল লাল-হলুদ। এ দিন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ইস্পাত নগরীর দলকে চাপে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। এরই সুবাদে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল প্রবেশ করাতে পারেননি খালিদ জামিলের ছেলেরা। এ দিন লাল-হলুদের হয়ে দুটি গোল করেন হিজাজি মাহের এবং জাভিয়ার সিভেরিও। ফাইনালে ওড়িশা এফসি অথবা মুম্বই এফসির মধ্যে যে জিতবে তাঁদের মুখোমুখি হবে লাল হলুদ ব্রিগেড। ফাইনালে কাকে চান ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত! এদিন তিনি বললেন,’অনেকদিন ক্লাবে কোনো ট্রফি আসেনি। আমি ক্লাবকে ট্রফি দিতে চাই। কে ফাইনালে উঠবে চিন্তা করছি না। নিজেদের সেরাটা দিতে চাই।’
ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে স্কোর লাইন ২-০ হলেও ম্যাচটি আরও বেশি গোলে জিততে পারত ইস্টবেঙ্গল যদি না ম্যাচের অন্তিমলগ্নে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ না হতেন ক্লেটন সিলভা। এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই খালিদ জামিলের দলের উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। বিক্ষিপ্ত ভাবে জামশেদপুর এফসি কিছু অ্যাটাক তুলে আনলেও সেটা থেকে বিধ্বংসী রূপ নিতে পারেনি খালিদ জামিলের দল। বিশেষ করে প্রভসুখন গিলের অবদান অনস্বীকার্য খালিদ জামিদের দলের এই ধরনের একাধিক অ্যাটাক ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ার পথ থেকে আটকানোর জন্য। ১৯ মিনিটে হিজাজি মাহেরের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
এগিয়ে যাওযার পর ইস্টবেঙ্গল আক্রমণের তেজ বাড়ায়। কিন্তু প্রথমার্ধের এই একমাত্র গোল ছাড়া আর কোনও গোল করতে পারেনি ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম প্রধান।
দ্বিতীয়ার্ধে এই গোল পরিশোধ করার জন্য খালিদ জামিলের নেতৃত্বে জামশেদপুর এফসি অল আউট যাওয়া জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। স্টিভ আমরি-এলিসহিনহো আক্রমণের বেগ বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত কোনও কাঙ্খিত ফল হয়নি। জামশেদপুরকে টেক্কা দিয়ে এই অর্ধে দ্বিতীয় গোলটি করেন জাভিয়ার সিভেরিও। নিশু কুমারের পাস থেকে জাভিয়ার বুদ্ধিদীপ্ত ভঙ্গিতে গোলটি করেন। ম্যাচের অন্তিমলগ্নে গোল বাড়ানোর সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামা সায়ন ব্যানার্জি পেনাল্টি অর্জন করেন। কিন্তু গোল করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্লেটন সিলভা।