
স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠেই আই লিগের শক্তিশালী দল গোকুলাম এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। ২০১৯ সালের পরে ফের একবার ডুরান্ড কাপের সেমিতে শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাব। এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শুরুর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই কর্ণার আদায় করে নেয় লাল-হলুদ শিবির। কর্ণার থেকে মহেশের ভাসানো বল জর্ডনের দিকে বাড়িয়ে দেন বোরহা। হেডে গোল করতে ভুল করেননি জর্ডন এলসি।১১ মিনিটের মাথায় মহেশের পাস থেকে নন্দকুমার গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তিনি ফিনিশিং টাচ দিতে পারেননি। ১৫ মিনিটের বক্সের মাথা থেকে জোরালো শটে গোল করার চেষ্টা করেন বোরহা। তবে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।২৬মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের সৌভিক চক্রবর্তী ও বোরহা। ফ্রি-কিক কাজে লাগাতে পারেনি গোকুলাম। ৩২ মিনিটের সাউল ক্রেসপোর জোরালো শট গোকুলামের ক্রসবারে প্রতিহত হয়। কর্ণার থেকে ভাসানো বল সতীর্থর পা ঘুরে বক্সের ভিতরেই সাউলের কাছে চলে আসে। কার্যত অরক্ষিত ছিলেন ক্রেসপো। তিনি জোরালো শট নেন। তবে ভাগ্য সঙ্গ না দেওয়ায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়া হয়নি ইস্টবেঙ্গলের।৩৮ মিনিটের মাথায় সৌভিকের লংশটে বল চলে যায় বক্সে থাকা সিভেরিও কাছে। তিনি হেডে বল গোকুলামের জালে জড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে বল অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় ৩ মিনিট। প্রথমার্ধতে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ছিল ১-০ ব্যবধানে।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডিফেন্স ভুল ডুবিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। ৫৭ মিনিটে গোকুলামের বৌবা লাল হলুদ বক্সে ঢুকে অসাধারণ গোল করে ম্যাচের সমতা ফেরান।গোল খাওয়ার পরেই ৫৮ মিনিটের মাথায় সৌভিক চক্রবর্তীকে তুলে নিয়ে এডউইনকে মাঠে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ । ৫৯ মিনিটে বোরহার বদলে মাঠে নামেন পারদো।৬৮ মিনিটের আবার সিভেরিও তোরোকে তুলে নিয়ে ক্লেটন সিলভাকে মাঠে নামান কুয়াদ্রাত।এরপরেই গোটা দলের ফুটবলের প্রথমার্ধের ছন্দ ফিরল।৭৮ মিনিটের মাথায় সাউল ক্রেসপোর দূরপাল্লার শট গোকুলামের ম্যাচে একমাত্র গোলদাতা বৌবার গায়ে লেগে গোকুলামের জালে জড়িয়ে যায়। এরপরই আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে ওঠে লাল হলুদ ব্রিগেড। বৌবাকে তুলে নেয় গোকুলাম। প্রবল বৃষ্টিতেও এদিন মাঠে এসেছিলেন লাল হলুদ সমর্থকরা।ইস্টবেঙ্গলের জয়ে আর কোনো কিছুই বাধা হয়নি। আনন্দের বৃষ্টি নিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা।সেমিতে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল