
স্পোর্টস ডেস্ক : সদ্য ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে কন্যাশ্রী কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীভূমি এফসি। আর এদিন সংবর্ধিত হলেন কন্যাশ্রী কাপ চ্যাম্পিয়ন ফুটবলাররা। এদিন , ময়দানে শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবের কর্তারা নিজেদের চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিলেন। প্রত্যেক ফুটবলারদের ব্যাগ,স্পোর্টস শু দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবের সভাপতি সুজিত বসু, সচিব রাকেশ ঝাঁ। ছিলেন আইএফএ-এর চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সভাপতি অজিত ব্যানার্জি, সচিব অনির্বান দত্ত সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা। মহমেডান ক্লাবের কর্তা কামারউদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ময়দানের বিভিন্ন ক্লাব কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন টিমের উদ্দেশ্যে সুজিত বসু জানান, “সামনেই IWL -এর দ্বিতীয় ডিভিশন খেলা। মন দিয়ে খেলতে হবে। ক্লাবের পক্ষ থেকে সব রকম পরিষেবা দেওয়া হবে। মন দিয়ে খেলতে হবে।” প্রসঙ্গত কদিন আগে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করে ইডি।অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে কম্পিউটারে একটি ফোল্ডার পেয়েছিলেন তাঁরা। তাতে কাদের কাছে কত টাকা গেছে, সেই সংক্রান্ত কোডনেমের তালিকা ছিল। ইডি সূত্রে দাবি, অয়ন শীলকে জেরায় সেই কোডনেম ক্র্যাক করতে গিয়েই উঠে আসে সুজিত বসুর নাম। মনে করা হয়েছিল হয়ত তিনি আসবেন না ক্লাবের অনুষ্ঠানে। কিন্তু তিনি এদিন এলেন।কোচ সুজাতা করকেও বিশেষ ভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তিনিই একমাত্র মহিলা কোচ যিনি পরপর দুই বছর কন্যাশ্রী কাপ জিতলেন (ইস্টবেঙ্গল ও শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাব)। পাশাপাশি তিনি এবছর খেলো ইন্ডিয়ার বাংলা দলেরও কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন।ময়দানের তিন প্রধান ক্লাব বাদ দিলে, ফুটবলারদের যে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে তা হল ভবানীপুর ক্লাব এবং শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাব। ফুটবলারদের পেমেন্ট, থাকা,খাওয়া সব কিছুই তাক লাগানোর মতো। এবারের কন্যাশ্রী কাপের দল গড়ার জন্য কোচ সুজাতা কর যা যা চেয়েছেন সুজিত বসু, রাকেশ ঝাঁ তাই দিয়েছেন। বিশেষ করে সচিব রাকেশ ঝাঁ নিজেদের ফুটবল দল নিয়ে পাগলের মতো পরিশ্রম করেছেন।