
ওঙ্কার ডেস্ক:গল্ফগ্রিনে উদ্ধার হওয়া কাটা মুণ্ডুর রহস্যের তদন্তে শনিবার মৃত মহিলার জামাইবাবুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী দলের সদস্যদের। গত ১২ তারিখ খাদিজাকে বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নটার খুন করে আতিউর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও এমনটাই জানানো হয়েছে। ওইদিন বিকেলে রিজেন্ট পার্কের নির্জন এলাকায় এক পরিত্যক্ত বাড়িতে যায় আতিউর। সেখানে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয় এবং ক্রমশ তা চলে যায় হাতাহাতির পর্যায় এবং সেই সময়ে দেওয়ালে মাথা ঠুকে ব্যাপক আঘাত লাগে খাদিজার। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে খাদিজার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে আতিউর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও এমনটাই জানানো হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, খুনের পর রাতে দেওয়ালে পুট্টি করার ধারালো ধাতব দিয়ে খাদিজার দেহ তিন টুকরো করে আতিউর এবং যে বস্তায় রংয়ের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে আসত সে, সেই বস্তায় দেহাংশগুলি ভরে গল্ফগ্রিন ও রিজেন্ট পার্কে ভোর তিনটের দিকে ফেলে দেয় সে। এরপর রিজেন্ট পার্কের যে আবাসনে কাজ করত, সেখানেই ফিরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে ।
এত জঘন্য এক কাজের পর কীভাবে একটা মানুষ বাড়ি ফিরে শান্তিতে ঘুমোতে পারে সেই ভেবেই চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী দলের।