
সুমন্ত দাশগুপ্তঃ মহম্মদ আজহারউদ্দিন আর বিতর্ক যেন সমার্থক শব্দ। ম্যাচ গড়াপেটার মতো কলঙ্কের ছাপ লেগেছিল ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের গায়ে। এবার দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হলেন তিনি। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এবার আজহারকে তলব করল ইডি।
হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থায় আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়াল ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের। সেই মামলায় তাঁকে ইতিমধ্যেই তলব করেছে ইডি। বৃহস্পতিবারই হায়দরাবাদের ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আজহারকে।
আজহার হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি থাকার সময় সংস্থার তহবিলের প্রায় ২০ কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ডিজেল জেনারেটর, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও রাজীব গান্ধি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ক্যানোপি কেনার জন্য ওই টাকা বরাদ্দ ছিল।
সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতির পদ থেকে আজহারউদ্দিনকে সরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর পরিবর্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওকে সংস্থার কাজকর্ম দেখার পাশাপাশি দুর্নীতি এবং নির্বাচন নিয়ে চলা সমস্যা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা বনাম চারমিনার ক্রিকেট ক্লাবের মামলায় বিচারপতির বেঞ্চের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নির্বাচন নিয়ে জটিলতা অবিলম্বে শেষ করতে হবে এবং সঠিক পদ্ধতিতে নির্বাচন সংগঠিত করতে হবে।
ঠিক তার পর ক্রিকেট প্রশাসন থেকে সরে, রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন আজহার। তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়েছিলেন তিনি। তবে রাজনীতির ময়দানে ব্যর্থ হন। যদিও আজহার ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাঁকে সমন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাতচল্লিশ টেস্টে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ৯৯ টেস্ট, ৩৩৪টি ওয়ান ডে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আজহারের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে। গড়াপেটার অভিযোগ প্রমাণ হয়ে যাওয়ার পর আজহারকে আজীবন নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড।
যদিও ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার প্রশাসক হিসেবে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর।