
সুনন্দা দত্ত, হুগলি : কাজ বন্ধ করে অফিসের গেটে বিক্ষোভে সামিল শ্রমিক কর্মচারীরা। পরিষেবা না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সপ্তাহের শুরুতেই এই দৃশ্য দেখা গেল চুঁচুড়া পুরসভায়। শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কারণেই এই বিক্ষোভ বলে জানা গেছে ।
দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান অমিত রায় পুরসভায় ঢুকতে গেলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও বাধা কাটিয়ে চেয়ারম্যান অফিসে ঢোকেন। তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। শ্রমিকরা ‘নো ওয়ার্ক নো পে’-তে কাজ করে। টানা ছয় দিন কাজ না করলে তাদের বদলে অন্য লোক নিয়ে কাজ করানো হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরাও জানান, বাইশ সালে পুরো বোর্ড গঠন হওয়ার পর রোজ কুড়ি টাকা করে মজুরি বারানো হয়েছিল। একটা পুরো বোর্ডের মেয়াদ শেষ না হলে আবার মজুরি বাড়ানো রাজ্যের কোন পুরোসভায় হয়নি। অস্থায়ী শ্রমিকদের জন্য পুরোসভার কোনো দায় নেই। তবু চুঁচুড়া পুরসভা অবসর থেকে মজুরি সব বিষয়ে অনেক সহানুভূতিশীল। এরপরও যারা কাজ করবে না তাদের বদলে অন্য লোক নেওয়া হবে।
তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে ভোগান্তির মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শেখ দারাব আলী নামক এক ব্যক্তি ভাতার জন্য পুরসভায় এসেছিলেন, কিন্তু পুরসভায় কাজ না হওয়ায় ফিরে যেতে বাধ্য হন তিনি ।
উল্লেখ্য ২০২৪ এ সেপ্টেম্বর মাসে অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীরা বকেয়া মজুরির দাবিতে লাগাতার ধর্মঘট করেছিল। যার জেরে চুঁচুড়া শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার বন্ধ হয়ে গেছিল। এর ফলে শহরের রাস্তাঘাট আস্তাকুড়েতে পরিণত হয়েছিল। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পুরোনিগম উন্নয়ন দপ্তর তিন কোটি টাকা দিলে তখনকার মতো শ্রমিকদের বেতন মেটানো হয়। বেতন মেটানোর পর শ্রমিকরা আবার কাজে যোগ দেয়। সোমবারও তাদের আন্দোলন মজুরি বৃদ্ধি করা নিয়ে।
কর্মচারীদের দাবি, তাদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও হুগলী চুঁচুড়া পুরসভা শ্রমিক কর্মচারীদের মাসের নির্দিষ্ট কোন দিনে বেতন দিতে পারেনা বলে জানায় তারা।
শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, শ্রমিকদের দাবী দাওয়া নিয়ে আলোচনার অধিকার চেয়ারম্যান কেড়ে নিয়েছে। তাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছে। যতদিন না সমস্যার সমাধান হয়, দাবি নিয়ে না আলোচনায় বসেন চেয়ারম্যান ততদিন এই আন্দোলন চলবে।