
বিপ্লব দাশ : সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি পোস্ট ইতিমধ্যে অনেকেরই নজর কেড়েছে। যার টাইটেল- বাংলার বাঘিনী ! স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ২৬শের নির্বাচনে তৃণমূলের শ্লোগান কি তাহলেই এটাই ? ২১শের নির্বাচনে তৃণমূলের শ্লোগান ছিল “বাংলা নিজের মেয়েকে চায়”। এর আগেও মমতাকে ‘অগ্নিকন্যা’ বলা হয়েছে। যে নামটি দিয়েছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। এবং এটাই ছিল মমতার উত্থাণের পিছনে একটি ইউএসপি। এবার ২১শের ভোটকে সামনে রেখে মোদি, অমিত শাহ্ বিজেপির যে নির্বাচনী ভেরী বাজিয়ে গেলেন, তাকে রুখতেই কি “বাংলার বাঘিনী”র আগমন ? জল মাপতে শুরু করেছে আই প্যাক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু ফুটেজ নিয়ে তৈরি একটি ছোট্টো ভিডিও। তৃণমূল কংগ্রেসের অফিশিয়াল X-এ পোস্ট করা হয়েছে, তাতে লেখা “বাংলার বাঘিনী”। তৃণমূলেরই এক নেতা তথা মন্ত্রীর কথায়, কোনও স্লোগান এমনি-এমনিই তৈরি হয় না। তার একটা ন্যারেটিভ থাকে।
সম্প্রতি নেতাজী ইন্ডোরে অমিত শাহ্ বিজেপির অন্দরে যে সুর বেঁধে দিয়ে গেছেন, তার জবাব দিতে এখন থেকেই কী ময়দানে নামতে চাইছে তৃণমূল ! ২৬শের ভোটে বিজেপির অবস্থান কি হবে তা মূলত চারটি জোরালো ইস্যুকে বিজেপির অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। বিজেপির কাছে প্রতিটি নির্বাচনে অনুপ্রবেশ অবধারিত ভাবে একটা ইস্যু হয়ে এসেছে। এবার অপারেশন সিঁদুরের রেশ টেনে ধরতে একেই গুরুত্ব দিতে চাইছে বিজেপি। অমিত শাহ স্পষ্ট বলেছেন, তৃণমূল সরকার কাঁটা তারের জন্য জমি দিচ্ছে না। অবাধ অনুপ্রবেশ হচ্ছে। ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে তৃণমূল করছে। তিনি জানিয়েছেন, এরাজ্যে অবাধ নির্বাচন হয়না। অবাধ নির্বাচন হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানত জব্দ হবে। একই সঙ্গে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গ। অমিত শাহ বলেছেন, দাঙ্গা রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করেছে। এক মন্ত্রীকেও অভিযুক্ত করেছেন তিনি। এরপর এসেছে, দেশের নিরাপত্তা। অবশ্যই তা অনুপ্রবেশের পথ ধরে। আর এই চারটি ইস্যু দিয়ে বিজেপি চাইছে “অপারেশন বেঙ্গল”-এর শ্লোগান তুলতে। তারই কি পালটা “বাংলার বাঘিনী” ?