
ওঙ্কার ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে রক্তাক্ত জঙ্গি হানার পর দেশের নিরাপত্তা পরিকাঠামোতে জোরালো সতর্কবার্তা। সীমান্তে তৎপরতা বাড়াতে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। শুধু পাকিস্তান নয়, বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তেও।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সখ্যতা বাড়ছে গত কয়েক মাস ধরে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই সখ্যতার সুযোগে ঢাকার মাটিতে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রভাব বিস্তার করছে। মদত পাচ্ছে কিছু চরমপন্থী ইসলামি সংগঠনও। বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে গোপন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই ভারতের অভ্যন্তরে অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, এমনটাই বলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন দিল্লি। সংশোধিত ওয়াকফ আইন ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠা মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশি চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে গোয়েন্দারা। রিপোর্ট বলছে, সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা এসে অশান্তি ছড়াচ্ছে। এর পর থেকেই ওই সীমান্তে নিরাপত্তা বলয় জোরদার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের তরফেও জবাবি প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, আরব সাগরে পাক নৌসেনা ফায়ার ড্রিল চালাচ্ছে ২ মে পর্যন্ত। পাল্টা সতর্ক বার্তা দিতে ৩ মে পর্যন্ত গুজরাত উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে ভারতীয় নৌবাহিনীও গুলিবর্ষণের মহড়া চালাবে। এই পরিস্থিতিতে রাতারাতি বড় সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে— আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আসিম মালিককে দেওয়া হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দ্বায়িত্ব। যেহেতু পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে ইসলামাবাদ, এমন মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে মায়ানমার সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। উত্তর-পূর্ব ভারত লাগোয়া সীমান্তের নিরাপত্তা যেন ফাঁকি না পায়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে দিল্লি। গোয়েন্দারা মনে করছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পাশাপাশি এই রুটও হয়ে উঠতে পারে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের করিডর। উত্তর থেকে দক্ষিণ— সীমান্ত জুড়ে এখন একটাই বার্তা, হালকা চালে নয়, কড়া প্রহরায় সুরক্ষার চাবিকাঠি।