
স্পোর্টস ডেস্ক : বিশাখাপত্তনম টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনের নায়ক ছিলেন। দ্বিতীয় দিন সকালেও নায়ক হয়ে উঠলেন যশস্বী জয়সোয়াল। দেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচে প্রথম শতরানকে দ্বিশতরানে পরিণত করলেন এই তরুণ ব্যাটার। ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা সতীর্থদের কাছ থেকে খুব বেশি সাহায্য না পেলেও, কার্যত একাই ইংল্যান্ডের বোলারদের শাসন করলেন যশস্বী। তাঁর সাহস বীরেন্দ্র সেহবাগের কথা মনে করিয়ে দিল। ১৯১ রানে ব্যাটিং করার সময় বেশিরভাগ ব্যাটারই সতর্ক থাকেন। বিশেষ করে যদি কেউ টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দ্বিশতরানের মুখে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু যশস্বীর মধ্যে সেসব ভাবনাই নেই। শোয়েব বশিরের বলে পরপর ওভার-বাউন্ডারি ও বাউন্ডারি মেরে দ্বিশতরান করে ফেললেন ভারতের তরুণ ওপেনার। ২৭৭ বলে দ্বিশতরান পূর্ণ করলেন যশস্বী।টেস্ট ক্রিকেটে ১০ নম্বর ইনিংসে প্রথম দ্বিশতরান করলেন যশস্বী। তৃতীয় ইনিংসেই দ্বিশতরানের রেকর্ড আছে করুণ নায়ারের। চতুর্থ ইনিংসে প্রথম দ্বিশতরান করেন বিনোদ কাম্বলি। অষ্টম ইনিংসে প্রথম দ্বিশতরান করেন সুনীল গাভাসকর ও ময়ঙ্ক আগরওয়াল। নবম ইনিংসে দ্বিশতরান করেন চেতেশ্বর পূজারা। করুণ, কাম্বলি, পূজারা ও যশস্বীর প্রথম দ্বিশতরান ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।২৯০ বলে ২০৯ রান করে জেমস অ্যান্ডারসনের বলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়লেন যশস্বী। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৯টি বাউন্ডারি ও ৭টি ওভার-বাউন্ডারি। ভারতের ইনিংসে অন্য কোনও ব্যাটার অর্ধশতরানও করতে পারেননি। যশস্বীই ভারতীয় দলকে ৪০০ রানের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিলেন। এই তরুণ যে পরিণত মানসিকতার পরিচয় দিলেন, তাতে ভবিষ্যতে আরও অনেক চমকপ্রদ ইনিংসের ইঙ্গিত রয়েছে। এই মানসিকতা বজায় রাখতে পারলে অনেকদূর যাবেন যশস্বী। তাঁর সাহস ও দলের প্রয়োজনের কথা ভেবে খেলা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আউট হওয়ার পর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও যশস্বীকে অভিনন্দন জানান।