
মানস চৌধুরী, দমদমঃ খোদ মন্ত্রী মশায়ের সামনেই ঘটনার নাটকীয় মোড়। মঞ্চে উপস্থিত থেকেও জোড়া ফুলের পতাকা হাতে তুলে নিতে অস্বীকার নির্দল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে শোরগোল দমদমে। কেন এমন সিদ্ধান্ত! তা নিজেই জানিয়ে দিলেন দেবাশিস।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে, মঙ্গলবার দমদম রবীন্দ্রভবনে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছিল দক্ষিণ দমদম টাউন তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। সেই মঞ্চ থেকে দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ দমদমের দুই নির্দল কাউন্সিলর ও এক বহিষ্কৃত নেতার। কর্মী সম্মেলনের শেষে যোগদানের জন্য তাঁদের নামও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপরেই নাটকীয় মোড় নেয় পুরো ঘটনা। ব্রাত্য বসু ও সৌগত রায়ের উপস্থিতিতেই সেই সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে সময় চেয়ে নেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত তা নিয়ে মুখ খোলেন দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নেতৃত্বেই তিনি কাজ করবেন। তবে দলে যোগ দিতে তাঁর সময় লাগবে। কারণ এলাকাবাসীর মতামত নেওয়ার পরে তিনি দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেবেন।
ঘটনার পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মন্ত্রী ও অন্যান্য কাউন্সিলররা। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শেষমেশ দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেন। এই বিষয়ে মুখ খোলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। তিনি বলেন, “একজন যোগদান করেননি। বাকিরা তো করেছে।
গোটা ঘটনা ঘিরে শোরগোল দমদমে। এলাকায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যাবর্তন হল না ।