
বিপ্লব দাশ : প্রধানমন্ত্রীর একটি ছোট্ট উচ্চারণ, “সময় সীমিত হ্যায়, লকস্ বড়া।” প্রধানমন্ত্রীর এই অতি ছোট্ট কথা। ইংগিতে তার বিশালত্ব, অভিব্যক্তিতে তার সবক শেখানোর রূঢ়তা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই যথেষ্ট নয় ! তাই এটা ইংগিত, না উপদেশ তা নিশ্চয়ই বুঝছেন ১৪০ কোটি ভারতীয়। কারণ, এমন একটা কিছু চাইছে ভারতবাসী। ৭৫ বছর ধরে পাকিস্তানের ত্রিকোণ ষড়যন্ত্র যে ভাবে রক্তাক্ত করে চলেছে ভারতের মাটি, তাতে সহ্যের সীমা ভেঙেছে অনেক আগেই। ভারতের মাটিতে প্রত্যেকটি জঙ্গি হামলার পিছনে যে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে তার প্রমাণ মিলেছে প্রতিবার। এবারও তার অমিল কিছু নেই। এতদিনে সারা বিশ্ব জেনে গেছে পহেলগাঁওয়ের মূল চক্রি হাসিম মুসা ছিল পাক প্রাক্তন কমান্ডার, যে এখন লস্কর-ই-তৈবার গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার।
অর্থাৎ গত ৭৫ বছর ধরে পাকিস্তানি সেনা, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং পাকিস্তানের তৈরি করা জঙ্গিদের ত্রিকোণ ষড়যন্ত্র যে এবারও কাজ করেছে তা বিশ্বের কাছে ফর্দাফাঁস হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ধরে নিচ্ছেন যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। এটাই চাইছে ভারতের সমস্ত নাগরিক।
কিন্তু যুদ্ধ বললেই তো যুদ্ধ হয় না। কিছু কিছু অনিবার্য ফ্যাক্টার সামনে এসে দাঁড়ায়। যেমন, সাধারণ মানুষের প্রাণ, অর্থনৈতিক আঘাত, উন্নয়নমূলক কাজে বাধা। যার অনিষ্ঠকারী প্রভাব এসে পরে সাধারণ মানুষের উপর। এই সার্বিক আঘাত কতটা কমানো যায় সেটাও একটা কৌশলগত দিক। একে যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রত্যাঘাত করার কথা ভাবা যে হচ্ছে তা, আর দেরীটাও যে এখানে সেটা বুঝতে হবে। একই সঙ্গে, যারা গত ৭৫ বছর ধরে লাগাতার এই দেশের মাটিতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে আসছে তাদের সহায়তাকারী এদেশীয়দের ছেঁকে বের করাটাও একটা অবশ্যম্ভাবী কাজ। তাই সেনাবাহিনীর তিন শাখাকে প্রধানমন্ত্রী “পূর্ণ স্বাধীনতা” দিলেও সঙ্গে সঙ্গেই যে শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়া যায় না এটাও বুঝতে হবে। মনে রাখতে হবে আফগানিস্তানের মতো একটি ছোট্টো দেশে সামরিক আঘাত আনতে আমেরিকাকে একমাস সময় নিতে হয়েছিল।