
বিপ্লব দাশ : “এ বছর বাংলার কেউ সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পাননি। ৫২ বছর বাদে এমন ঘটনা ঘটল। কারণ স্বরূপ সংবাদ মাধ্যম এবং নানাজনের মুখে যা শুনেছি, তাতে স্রেফ বিবমিষার উদ্রেক হয়। আমি নিশ্চিত, এই ঘটনার পর সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পেলে কোনো আত্মমর্যাদা সম্পন্ন লেখক গর্বিত বোধ করবেন না। বরং কিঞ্চিৎ লজ্জিত হবেন।” এই পাঁচটি বাক্য এই সময়ের এক বিশিষ্ট সাহিত্যিকের ফেসবুক পোস্ট থেকে উল্লেখ করা হল। বলাবাহুল্য তিনি নিজেও এই পুরস্কারের একজন যোগ্য সাহিত্যিক। সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার নিয়ে এই সময়ের একটি অত্যন্ত বিতর্কিত ইস্যুতে খুব অল্প কথায় তাঁর মতমাত জানিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যেই কী ধরা পড়ল না বাংলা সাহিত্য জগতের এক আলো আঁধারি চেহারা !
প্রথমে আসি, এ বছর বাংলার কেউ সাহিত্য একাডেমি পেলেন না। যা আক্ষরিক অর্থে বিস্ময়ের। এবং এর ভিতরের রহস্য না জানি কতই না চমকিত করে। যা নানাজনের মুখে নানাভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। সত্য যাই হোক না কেন, আসলে এই দুর্ঘটনাটি যে বাংলার সাহিত্য মহলকে বিশেষ ভাবে আঘাত করেছে তা এই মুহূর্তে সকলের কথায় তা স্পষ্ট। দ্বিতীয় কথা হল, আত্মমর্যাদা। এর আগে বলে নেওয়া ভালো, ২০২৪ সালে বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেল, রা ২০২৪-এই বাংলা ভাষায় লিখিত কোনো সাহিত্য গ্রন্থ বা সাহিত্যিক সাহিত্য একাডেমি পুরাষ্কারে মনোনিত হলেন না। স্বশাসিত এই সংস্থার তরফে জানান হয়েছে, টেকনিক্যাল কারণে এবছর বাংলার কাউকে এই পুরষ্কার দেওয়া গেল না। কিন্তু সেই টেকনিক্যাল কারণটি কী, সে বিষয়ে কিছু জানান হচ্ছে না। যদিও এ বিষয়ে রহসেয় রাখা উচিত নয়, কারণ বিষটি সম্পর্কে স্পষ্ট করে জানার অধিকার আছে বাংলার মানুষের। তৃতীয়ত, সাহিত্য একাডেমি বাংলায় তার গর্ব হারাল। ওই বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবার এও বলেছেন, এরপর কোনো লেখক যদি সাহিত্য একাডেমি পান তাহলে তিনি কিঞ্চিৎ লজ্জিত হবেন। তাহলে কি সাহিত্যের এই স্বীকৃতি তার গুরুত্ব হারাল ? বাঙালিরা বিশেষ ভাবে সাহিত্য অনুরাগী। হলপ করে বলা যায়, ভারতের অন্য কোনো রাজ্যে সাহিত্য নিয়ে এমন উচ্চতায় চর্চা না। তবু সেই বাংলায় গৌরব হারাল সাহিত্য একাডেমির মতো একটি জাতীয় সম্মান। এই অবমাননার পিছনে আসল চক্রী কারা তা এবার স্পষ্ট করা উচিত।