
ওঙ্কার ডেস্ক: দেশে গত ছয় বছরের মধ্যে মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে সর্বনিম্ন ৷ চলতি বছরের মার্চে দাম কমেছে শাক-সবজি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য সামগ্রীর।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে ভারতে পণ্যের খুচরো দরের মূল্যবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৩.৩৪%, যা গত ছ’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই ছিল ৩.৬১ শতাংশ এবং গত বছরের মার্চে তা ছিল ৪.৮৫ শতাংশ ৷ ২০১৯ সালের অগস্টে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩.২৮ শতাংশ৷ সেই সময়ের পর থেকে এখনও পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হার সবচেয়ে কম হয়েছে মার্চ মাসে।
উল্লেখ্য, কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স বা সিএফপিআই এর মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে বাজারে শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম-সহ খাদ্যসামগ্রীর দামের ওঠাপড়ার হিসাব নির্ধারণ করা হয়। সেই সঙ্গে এর উপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতিও নির্ণয় করা হয়। সিএফপিআই-এর ভিত্তিতে মার্চে গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যসামগ্রীর মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২.৮২ শতাংশ ৷ ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৪.০৬ শতাংশ ৷
সারা ভারতে প্রত্যেক বছর যে জিনিসগুলির মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বেশি হয়, তার মধ্যে প্রথম পাঁচটি পণ্য হল- নারকেল তেল (৫৬.৮১ শতাংশ), নারকেল (৪২.০৫ শতাংশ), সোনা (৩৪.০৯ শতাংশ), রুপো (৩১.৫৭ শতাংশ) এবং আঙুর (২৫.৫৫ শতাংশ)৷ অন্যদিকে দৈনন্দিন ব্যবহারের কয়েকটি জিনিসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতি বছরে নিম্নমুখী থাকে এমন পাঁচটি জিনিস- আদা (-৩৮.১১ শতাংশ), টমেটো (-৩৪.৯৬ শতাংশ), ফুলকপি (-২৫.৯৯ শতাংশ), জিরে (-২৫.৮৬ শতাংশ) এবং রসুন (-২৫.২২ শতাংশ) ৷