
ওঙ্কার ডেস্ক : পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ক্রমশ বেড়ে চলা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে মধ্যস্থতার বার্তা নিয়ে ইসলামাবাদে পৌঁছলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বললেন, তেহরান দু’দেশকেই আলোচনার টেবিলে ফেরাতে প্রস্তুত। সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি আসছেন নয়াদিল্লিতেও।
সোমবার ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নেমেই আব্বাস বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের সঙ্গেই ইরানের সম্পর্ক গভীর। আমরা চাই উত্তেজনার দ্রুত প্রশমন। এই সফরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করব। আঞ্চলিক সমস্যা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে।”
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও আকাশসীমা। সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিও। দুই দেশের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের আবহে রাশিয়া, চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকার পরে এ বার শান্তির বার্তা নিয়ে এগিয়ে এল ইরান।
ইরানের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের দিন আগেই ঠিক ছিল। ৭ ও ৮ মে তিনি নয়াদিল্লিতে থাকবেন। পহেলগাঁও ঘটনার জেরে তাঁর সফর কিছুটা পিছিয়ে গেলেও, শান্তি প্রতিষ্ঠার তাগিদেই এ যাত্রা বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও ভারতে আসার আগে তাঁর এই ইসলামাবাদ সফর সহজ ভাবে নিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল।
এর আগেও ভারত-পাক উত্তেজনা প্রশমনে তেহরান তাদের ভূমিকার কথা জানিয়েছিল। ইরানের পক্ষ থেকে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল— নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ চাইলে তেহরানের দূতাবাসকে আলোচনার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সোমবার ইসলামাবাদে সেই শান্তির বার্তাকেই আরও এক ধাপ এগিয়ে দিলেন আব্বাস আরাঘচি। বৈঠক শেষে ফিরবেন ইরানে। সেখান থেকে রওনা দেবেন নয়াদিল্লির উদ্দেশে। উত্তপ্ত কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে তাঁর সফর কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এখন সেদিকেই নজর আন্তর্জাতিক মহলের।