
ওঙ্কার ডেস্ক : ১ মার্চ যাদবপুর কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার ১৬ জন পড়ুয়াকে তলব করেছিল পুলিশ। যাদবপুর থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে সৌপ্তিক চন্দ্র নামে এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ক্যাম্পাসের ভিতর ‘শিক্ষাবন্ধু’র অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই গ্রেফতারির পর থানা চত্বরে ফের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ওয়েবকুপার সভাকে কেন্দ্র করে গত ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। বামপন্থী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি সেদিনই ক্যাম্পাসের ‘শিক্ষাবন্ধু’র অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে একাধিক পড়ুয়ার নাম উঠে আসে। তাদের মধ্যে ছিলেন এই সৌপ্তিক চন্দ্র। তাকেই এদিন গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন পড়ুয়াকে তলব করে যাদবপুর থানা। যাদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল, তারা বাদে বহু পড়ুয়া সেসময় বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়। যদিও যাদের তলব করা হয়েছিল তাঁরা জানিয়েছিলেন, আইন মেনেই চলতে চান। পুলিশের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। তবে তাঁদের অভিযোগ, এমন অনেকের কাছে পুলিশের চিঠি গেছে যারা যাদবপুরের প্রাক্তনী হলেও কলকাতাতেই থাকেন না। এরপরই সৌপ্তিকের গ্রেফতারির খবরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে থানা চত্বরে। বিক্ষোভের আঁচ বাড়তে থাকে। অবস্থানে সামিল হন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের। তাই অবিলম্বে এই তলব করা বন্ধ করতে হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে তাঁদেরও মুক্তির দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এর আগে এই কাণ্ডে সাহিল আলি নামে এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনি এখন জামিনে রয়েছেন। এরপর উজান নামের এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
যাদবপুরের পড়ুয়াদের আইনজীবীর দাবি, প্রথমে পুলিশ জানিয়েছিল শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে পড়ুয়াদের। কিন্তু পরে বলা হয়, এমন কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে তাই গ্রেফতার করতে হচ্ছে। কিন্তু গ্রেফতারের সঠিক কারণ জানায়নি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, পড়ুয়ারা সহযোগিতা করতে এসে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।