
ওঙ্কার ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর দাবি পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর প্রধানের। কাশ্মীর পাকিস্তানের ‘ঘাড়ের শিরা’র মতো এবং এই অঞ্চলকে ইসলামাবাদ কখনও ‘ভুলবে না’ বলে মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। শুধু তাই নয় ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগকেও সমর্থন করেছেন তিনি। পাক সেনা প্রধানের এই মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে নয়াদিল্লি।
প্রবাসী পাকিস্তানিদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে জেনারেল মুনির বলেন, ‘সন্তানদের কাছে আপনাদের অবশ্যই পাকিস্তানের গল্প বলা উচিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভাবতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম, আমাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য, চিন্তাভাবনা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা আলাদা। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তি ছিল এটিই, যা কার্যকর হয়েছে।’
জেনারেল মুনির আরও বলেন, ভারত ও পাকিস্তান দুটি পৃথক ‘জাতি’। তাঁর কথায়, ‘আমরা এক জাতি নই। এই কারণেই আমাদের পূর্বপুরুষরা এই দেশ তৈরির জন্য সংগ্রাম করেছেন। আমাদের পূর্বপুরুষরা এবং আমরা এই দেশ তৈরির জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমরা জানি কিভাবে এটি রক্ষা করতে হয়। আমার প্রিয় ভাইয়েরা, বোনেরা, কন্যা এবং পুত্ররা, দয়া করে পাকিস্তানের এই গল্পটি ভুলে যাবেন না। আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে এই গল্পটি বলতে ভুলবেন না যাতে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের বন্ধন কখনও দুর্বল না হয়।’
সম্প্রতি বালুচিস্তানের বিদ্রোহীরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মাথাচড়া দিয়েছে। ট্রেন হাইজ্যাক করে একাধিক পাক নাগরিককে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। এ বিষয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী বালুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ‘বালুচিস্তান পাকিস্তানের গর্ব, তোমরা এত সহজেই এটা কেড়ে নেবে? তোমরা ১০ প্রজন্মের মধ্যে এটা কেড়ে নিতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ, আমরা খুব শীঘ্রই এই সন্ত্রাসীদের পরাজিত করব। পাকিস্তানের পতন হবে না।’ শুধু তাই নয় কাশ্মীরও পাকিস্তানের অংশ হবে বলে দাবি করেন তিনি। পাক সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমাদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট, এটা আমাদের ঘাড়ের শিরা ছিল, এটা আমাদের ঘাড়ের শিরা হবে, আমরা এটা ভুলব না।’ তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে নয়াদিল্লি।।