
সুরজিত দাস , নদীয়া : রাস্তায় ধসের কারণে কিছুটা দেরি হওয়ায় পেহেলগাও তে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেননি তারা।
।এরই মাঝে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা হয়ে যায় সেখানে। কাশ্মীরের সেই হাড় হিম করা কাহিনীর কথা শোনালেন শান্তিপুরের দুই দম্পতি ।
জঙ্গি হামলায় উত্তপ্ত কাশ্মীর। জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গেছে ২৮ থেকে ৩০ জনের, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক বাঙালি। ঠিক তেমনি কাশ্মীরের ভূস্বর্গের আনন্দ নিতে গিয়েছিলেন নদীয়ার শান্তিপুরের দুই দম্পতি লক্ষণ কুন্ডু, হাসি কুন্ডু এবং তাপস দাস ও সবিতা দাস। তবে পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনা খবরের শোনার পর চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শান্তিপুরের দুই দম্পতির পরিবার। লক্ষণ কুন্ডুর ছেলে জানান একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছিল । কিন্তু তাদের ফোন সুইচ অফ ছিল। তবে কয়েক ঘন্টা পর লক্ষণ কুন্ডু সেখানকার একটি নতুন সিম নিয়ে বাড়িতে ফোন করেন। ফোনে তারা জানান তারা সুরক্ষিত আছেন ।
বাড়িতে জানানোর পর কিছুটা স্বস্তি পায় পরিবারের লোকজন। সেই ভয়ংকর ঘটনার কথায় তুলে ধরলেন তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। পরিবার জানিয়েছে ওই দুই দম্পতি বর্তমানে নিরাপত্তায় আছেন এবং তারা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা ও দিয়েছেন। পাশাপাশি ফোনের মাধ্যমে লক্ষণ কুন্ডুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা যায় তারাও যথেষ্ট আতঙ্কে ছিলেন। এই ঘটনা জানার পর তারা প্রথমে কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলেন না। দীর্ঘক্ষণ সেখানকার এক হোটেলে আটকেছিলেন। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি যখন কিছুটা শান্ত হয় তখন সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তারা।
পরিবারের সদস্যদের দাবি যেখানে কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখতে সারা ভারতবর্ষের পর্যটকরা উপস্থিত হয় সেখানে নিরাপত্তাহীনতাই এই ধরনের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।। সরকারের উচিত আরো সচেতন হওয়া। এবং যে ঘটনা ঘটেছে তার যথা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। তবে ইতিমধ্যে জঙ্গি দমনে নেমে পড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। চলছে লড়াই।