
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ বিদেশ যেতে হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাত দিন আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে তদন্তকারী এজেন্সি । ইডি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়া হবে না। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের বিদেশ যাত্রা মামলার শুনানিতে একথা জানান ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু।
আর এতেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বিরোধী বাম-কংগ্রেসের অভিযোগ মোদির সঙ্গে দিদির সেটিং হয়ে গেছে। আর তারজন্যই বিচারাধীন একটি মামলার নিস্পত্তি না হওয়া সত্বেও দেশ ছাড়তে পেরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ।
প্রসঙ্গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ইডির আইনজীবী এস ভি রাজুর এই বয়ানের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা আগেই এমিরেটসের বিমানে বুধবার রাতে সস্ত্রীক দুবাই উড়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর চিকিত্সার জন্য প্রথমে দুবাই তারপর সেখান থেকে আমেরিকা যাবেন অভিষেক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানান চিকিত্সার জন্য বিদেশ যাওয়া যে কোনও ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। অভিষেক অনেক আগেই ইডিকে মেইল করে বিষয়টি জানিয়ে ছিলেন। ইডির তরফ থেকে কোনও সাড়া না পাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। বরং সুপ্রিম কোর্ট ইডির কাছে জানতে চেয়েছিল কেন চিকিত্সার জন্য অভিষেককে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া হবে ? তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও নেই।
কিন্তু আইনি ব্যখ্যা যাই হোক না কেন বিরোধীরা মোদি-দিদির সেটিং তত্বেই অনড়। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বৃহস্পতিবারই প্রশ্ন তুলেছেন এতো মিডিয়া, গোয়েন্দা সংস্থার চোখ এড়িয়ে কি করে বিদেশে চলে গেলেন অভিষেক ? সুজনবাবুর তির্যক মন্তব্য আসলে আইনের রক্ষা কবচ না পেলেও অভিষেক, মোদির রক্ষা কবচ পেয়ে গেছেন। তাই তাঁকে আটকায় নি ইডি। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানেরও অভিযোগ বহু দিন ধরেই আমরা বলছি তৃণমূল আর বিজেপির নকল যুদ্ধ চলছে। আজ তা জলের মতো পরিস্কার। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেছেন কেউ পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। আইন আইনের পথে চলবে। আর তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির কোনও সেটিং হয়নি, বরং মোদিকে হঠাতে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস হাত ধরেছে সেটা সবাই দেখেছেন। ফলে শীর্ষ আদালতে ইডি যাই বলুক না কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সস্ত্রীক বিদেশ যাত্রা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।