
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ পঞ্চায়েত জিতলে টাকাই টাকা, যেন পাঁচ বছরের চাকরি। তাই টাকার জন্যই এই লড়াই! গণনা কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার ছড়াছড়ি। বৃহস্পতিবার ঠিক এই ভাষাতেই নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্তসনা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার।
পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন রাস্তায় লুটোচ্ছে রিটার্নিং অফিসারের সই করা ব্যালট পেপার। যা নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা তলবের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার জাঙ্গিপাড়ার বিডিও তথা রিটার্নিং অফিসারকেও তলব করেছিলেন। এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে হাজিরা দেন জাঙ্গিপাড়ার বিডিও। বিচারপতি রিটার্নিং অফিসার তথা বিডিওকে প্রশ্ন করেন আপনি এগুলি দেখেছেন ? “কিভাবে বাইরে এলো ব্যালট পেপারগুলি ? আপনি কাকে ইস্যু করেছিলেন ? প্রিসাইডিং অফিসারের সই আছে। বাইরে কি করে এলো?
জাঙ্গিপুরের বিডিও আদালতে জানান ভোটের দিন এগুলো প্রিসাইডিং অফিসারকে দিতে হয়। প্রিসাইডিং অফিসারের মাধ্যমে পোলিং স্টেশন থেকে বাইরে বেরোতে পারে।
এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রিসাইডিং অফিসারের নাম লিখে দিতে বিডিওকে নির্দেশ দেন।
বিরোধী পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান একটা দুটো নয়, শয়ে শয়ে ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছে গণনা কেন্দ্রের বাইরে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিযোগ গণনার সময় এই ঘটনা ঘটেছিল। কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। একই অভিযোগ জানান মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমও।
এদিন কমিশনের আইনজীবী কিশোর দত্ত এজলাসে জানান অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহার তীব্র বাদানুবাদ বেধে যায় কমিশনের আইনজীবীর। বিচারপতি সিনহা বলেন আসলে প্রচুর টাকার লেনদেন। তাই ক্ষমতা দখলের জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের মানুষ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। এদিন বুথের ভেতরের এবং বাইরের সিসিটিভির ফুটেজ রেজিষ্টার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ জুলাই।