
নিজস্ব সংবাদদাতা , পশ্চিম মেদিনীপুর : লক্ষীর ভান্ডার দিতে হবে না, রাস্তা মেরামত করে দিন।এমনই দাবি এলাকাবাসীর ।এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ বিজেপির পঞ্চায়েত হওয়ায় উন্নয়নে সাহায্য করছে না শাসক দল ।
তারা বলেন আমাদের লক্ষীর ভান্ডার চাইনা ! তবে অবিলম্বে রাস্তা মেরামত করে দিক প্রশাসন! বেহাল রাস্তায় যাতায়াত করতে পারছে না স্কুল পড়ুয়া থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষ। প্রতিনিয়ত হাঁটু সমান কাদা পেরিয়ে এই রাস্তা দিয়েই তাদেরকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দা মীরা দোলই বলেন প্রয়োজন নেই লক্ষীর ভান্ডার, তৈরি করে দেওয়া হোক গ্রামে ভালো রাস্তা।
অপর এক গ্রামবাসী সূর্যকান্ত দোলই বলেন রাস্তাটি খুবই খারাপ একেবারে চলাচলের উপযুক্ত নয়, যাতে সরকার তাড়াতাড়ি এই রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে তোলে সেজন্যে আবেদন জানাচ্ছি। ভোট আসে, ভোট যায়, নেতাদের দেওয়া ভাষণবাজি প্রতিশ্রুতিতেই থেকে যায়, বাস্তবে-তা সম্পূর্ণ হতে দেখা যায় না।
বাগরই সংসদের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা ছলনা দোলই এর অভিযোগ, তিনি বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা হওয়ার কারণে, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে কোন কাজ চাইতে গেলে তিনি তা মঞ্জুর করেন না। এলাকার জনপ্রতিনিধি তিনি, তাই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ চাইবেন এটাই তো স্বাভাবিক। গ্রাম পঞ্চায়েতে বারবার তার সংসদের রাস্তাঘাট মেরামত করার কথা জানালেও কাজ হয়না। তার আরো অভিযোগ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে টেন্ডার করে টাকা উঠে গেছে অথচ তিনিই জানেন না। যেই রাস্তার টেন্ডার হয়েছে, সেই রাস্তা এখনো সেই রাস্তা তৈরি হয়নি। অন্যদিকে কেশপুরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে লিখিত অভিযোগ জানালেও তার দেওয়া আশ্বাস, আশ্বাসই থেকে গেছে, আদতে বাস্তবে রূপদান হয়নি
তবে এই ধরনের কোন অভিযোগই মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিত্ত রঞ্জন গরাই। তিনি বলেন পঞ্চায়েত থেকে কোন রং না দেখেই উন্নয়ন করা করা হয়। প্রত্যেকটি এলাকায় রাস্তাঘাট ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেখানে সমস্যা রয়েছে, আমরা নিশ্চিত আগামী দিনে সেই জায়গায় সমস্যার সমাধান করে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে এখন দেখার বিষয়, কতদিনে রাস্তা তৈরি হয়ে এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধান হয়।