
এক্স ফ্যাক্টর যে কতটা বিপদজনক হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন মহুয়া মৈত্র। হিরানান্দানীর সঙ্গে তার সম্পর্ককে কেন্দ্র করে যখন সংসদে প্রথম হৈচৈ হয় সংবাদমাধ্যমে প্রথমে সামনে এসেছিল নিশিকান্ত দুবের নাম।
ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত। কিন্তু দ্রুত জানা যায় নিশিকান্ত দুবে যার তোলা অভিযোগকে হাতিয়ার করে লড়তে নেমেছেন তিনি হচ্ছেন আর কেউ নন মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন প্রেমিক জয় দেহাদ্রি। সুপ্রিম কোর্টের এই ক্রিমিনাল লইয়ার প্রথম লিখিতভাবে অভিযোগ করেন যে হীরানান্দানীর কাছ থেকে নগদ উপহারের বিনিময়ে মহুয়া মৈত্র আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে একের পর এক প্রশ্ন তুলেছেন। মহুয়ার প্রাক্তন একাধিকবার সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, কে মহুয়ার ষোল টি আন্তর্জাতিক এক্সিকিউটিভ ক্লাসের ফ্লাইট টিকিট কেটে দিয়েছে? মহুয়া হীরে বসানো সোনার রোলেক্স কোথাথেকে পেলেন? জহরত বসানো অলংকারই বা কে যোগান দিয়েছে?
কার্যত দেহাদ্রির যোগানো তথ্যের উপর দাঁড়িয়েই নিশিকান্ত দুবে সংসদে প্রশ্ন তোলেন। এবং মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির যে তদন্ত তার মূলেও সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর অভিযোগ। এমনকি দেহাদ্রি উড়িষ্যার এক শিল্পপতির সঙ্গে মহুয়ার ঘনিষ্ঠতার ব্যাপারেও তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত করেন। সামাজিক মাধ্যম দেহাদ্রি তাঁকে বারবার’ ওড়িয়া বাবু ‘বলে উল্লেখ করেছেন।
দেহাদ্রি উল্লেখ করেছেন এই ওড়িয়া বাবু এবং মহুয়া মৈত্রের মধ্যে কি সম্পর্ক তা নিয়ে সিবিআই এবং ইডির তদন্ত করা উচিত। এই ‘ওড়িয়া বাবু ‘মহুয়াকে সামনে রেখে আধুনিক বিরুদ্ধে ছক সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় দলের মধ্যেও মহুয়াকে বেকায়দায় ফেলতে দেহাদ্রি একের পর এক বিস্ফোরক টুইট করেছেন। দেহাত্রি বলেছেন, রোলেক্স কুমারীর প্ল্যান ছিলো, ফান্ড জোগাড় করে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ভেঙে নতুন দল করা। সেই কারণেই ‘ভাইপোর’ বিরুদ্ধে ক্রমাগত কুৎসা করেছেন রোলেক্স কুমারী। কিন্তু দিদি অত বোকা নন। সেখানে দিদি বলতে দেহাদ্রি সরাসরি মমতাকে ইঙ্গিত করেছেন।