
বিপ্লব দাশ, কনটেন্ট হেড
মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার তথা বাবলা সরকার খুনে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু দুলাল খুনে কেন আচমকা গ্রেফতার করা হল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মালদার ইংরেজবাজারে দুলাল বনাম নরেন্দ্রর দ্বন্দ্বই এর মূল কারণ।
নরেন্দ্রনাথের গ্রেফতারের পর বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘দুলাল সরকার খুনে জড়িত বলে গ্রেফতার হয়েছে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি একটা গোষ্ঠী তৈরি করেছিল। এলাকা দখল করার জন্য। আর দুলাল সরকার ওখানকার কাউন্সিলর হয়ে গেল। ভোটের আগে ওদের মধ্য়ে ঝগড়া হয়। আমরা সেই সময় দুলাল সরকারের পক্ষ নিয়ে বলেছিলাম। নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে কেউ বা কারা মদত দিচ্ছিল। অবশেষে এই ঘটনা ঘটল। নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি অনেককে বলেছে, আমি শেষ দেখব। যাদেরকে বলেছে তারা পুলিশকে বলেছে। স্বপন শর্মা এই লোকটা ভাড়াটে খুনি ছিল। আমাকেও অনেকবার অ্যাটাক করেছে। বোম মেরেছিল। এই স্বপন শর্মা বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জামিনে রয়েছে। দলের বাইরের ব্যাপার। একশ্রেণির লোক সাপোর্ট করেছে। দলের নেত্রী যখন জিজ্ঞাসা করবে তখন বলে দেব। আমি একমাত্র নেত্রীকে বলব। প্রভাবশালী এক নেতা আছে। কোন দলের বলব না। মুখ্য়মন্ত্রীকে বলব।‘
নিহত দুলাল তথা বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালী সরকার জানিয়েছেন, ‘একাধিক মাথা যুক্ত না থাকলে বাবলা সরকারের মতো নেতার মাথায় গুলি করা যায় না। এর সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত আছে। আমার মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রয়েছে। তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন সবাইকে খুঁজে বার করতে। নিশ্চয়ই পুলিশ খুঁজে বার করবে।’
যদিও বুধবার দুপুরে গ্রেফতারের পর আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, ‘আরও বড় মাথা আছে। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’
একদিকে কৃষ্ণেন্দু বলছেন, ‘আরও কেউ আছে মুখ্যমন্ত্রীকে বলব।‘ নরেন্দ্র বলছেন, ‘আরও বড় মাথা আছে।‘ নিহত বাবলার স্ত্রী চৈতালী সরকার বলছেন, ‘একাধিক মাথা যুক্ত আছে।‘ অর্থাৎ কৃষ্ণেন্দু-নরেন্দ্র-চৈতালী সবাই বলছেন ‘কেউ’ আছে। এখন প্রশ্ন, কে সেই বড় মাথা? মালদার পাশাপাশি গোটা রাজ্য জানতে চাইছে তার নাম।