
শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়ঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অনুরোধে অবশেষে দু মাস পর ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিল কুকিদের সংগঠন সংগঠনগুলি। আর এরপরই ফের নতুন করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে মনিপুরের সোংপিতে। কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন বা KNO-র মুখপাত্র সেইলেন হাওকিপির বাড়িতে সোমবার রাতে হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতেও। হামলা চালানো হয় মনিপুরের একমাত্র মহিলা মন্ত্রী নেমচা কিগপেন সহ একাধিক কুকি নেতার বাড়িতেও। প্রসঙ্গত রবিবার কুকিদের সংগঠন KNO এবং UPF কেন্দ্র সরকার এবং মনিপুর সরকারের সঙ্গে শান্তি ফেরাতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। শান্তি চুক্তি অনুসারে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয় তাঁরা। উল্লেখ্য ২ নম্বর জাতীয় সড়ককে মনিপুরের লাইফ লাইন বলা হয়, যা ইম্ফলকে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাল দেখা যায়, অসুবিধায় পড়েন সাধারণ মানুষ। কিন্তু অবরোধ তুলে নেওয়াকে কুকি-জোমি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ভাল চোখে নেয় নি।
এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই মনিপুরে দু মাস পর বুধবার ৫ জুলাই থেকে খুলছে স্কুল। সোমবার প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেন মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তবে এর আগেও দুবার স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করা হলেও স্কুল খোলা যায়নি মনিপুরে।
প্রসঙ্গত মনিপুরের হাই কোর্ট মেইতিদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মিছিল করে মনিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠনগুলি। অভিযোগ সেই মিছিলে হামলা চালায় মেইতিরা। তারপরই ৩ মে থেকে কুকিদের সঙ্গে মেইতিদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনিপুর। গত দু মাসে দেড়শোরও বেশি মানুষের মৃ্ত্যু হয় এই জাতি দাঙ্গায়।