
স্পোর্টস ডেস্ক :প্রথম চার ম্যাচে দলে জায়গা হয়নি। রিজার্ভে বসে কাটাতে হয়েছে। হার্দিক পাণ্ডিয়া চোট পাওয়ার পর কপাল খোলে মহম্মদ শামির। কম্বিনেশন বদলে তিন পেসারে খেলে টিম ইন্ডিয়া। সেই উপেক্ষিত শামিরই রেকর্ডের পর রেকর্ড। ভারতীয় বোলার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে সেরা পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপের মঞ্চে এত ভাল পারফরম্যান্স কারোর নেই। ৫৭ রানে ৭ উইকেট কোনও ভারতীয় বোলারের সেরা। এক বিশ্বকাপে ভারতের বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেট। মাত্র ৬ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়ে জহির খানকে ছাপিয়ে গেলেন শামি। বিশ্বকাপের ১৯ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। শামি ১৭ ইনিংসে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যান। পাঁচ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রেও অস্ট্রেলিয়ান পেসারকে ছাপিয়ে যান ভারতীয় বোলার। ৩ বার পাঁচ উইকেট নেন স্টার্ক। একবার বেশি শামির। চলতি বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচেই পাঁচ বা তারও বেশি উইকেট নেন ভারতীয় পেসার। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচের সেরা। ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলেন শামি। নেন ৫ উইকেট। এদিন আবার কিউয়িদের বিরুদ্ধে সাত। বিশ্বকাপে ভারতের সেরা বোলার জানান, সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। শামি বলেন, “আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি খুব বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলিনি। বিশ্বকাপে আমার প্রত্যাবর্তন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই হয়েছিল। অনেক ভ্যারিয়েশন নিয়ে আমরা আলোচনা করি। কিন্তু নতুন বলে উইকেট নেওয়া আমার পছন্দ।” ক্যাচ মিসের আফসোস যায়নি শামির। জানালেন, ক্যাচ ফস্কানো তাঁর অপরাধ। ফাইনালে ওঠায় উৎফুল্ল ভারতীয় পেসার। শামি বলেন, “শেষ দুটো বিশ্বকাপে আমরা সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছি। কে জানে আমরা আবার কবে বা আদৌ ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পাব কিনা। তাই আমরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছি। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।”নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। ৭০ রানে জয় রোহিতদের। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩৯৭ রান তোলে ভারত। জবাবে ৪৮.৫ ওভারে ৩২৭ রানে শেষ নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। চতুর্থবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। তারমধ্যে ১৯৮৩ এবং ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন। ২০০৩ বিশ্বকাপে সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে রানার্স আপ। চারবার সেমিফাইনাল থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। ১৯৮৭, ১৯৯৬, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে। তারমধ্যে শেষবার নিউজিল্যান্ডের কাছেই হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। চার বছর আগের বদলা নিল ভারত। একই সঙ্গে দশে দশ। টানা দশ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার নজির।