
অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, খাতায় কলমে নাম আন্টেনিও লোপেজ হাবাস হলেও মোহনবাগানে বিগ বস যেন তিনিই। দলগঠনে কারোর হস্তক্ষেপ পছন্দ তো নয়ই। অপরদিকে প্রচন্ড ইগো সমর্থকদের সঙ্গে মিশতে অনীহা। এমনই একগুছ অভিযোগ ছিল হাবাসের বিরুদ্ধে। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে হাবাস যেন অনেকটাই বদলে গেছেন। নিজেই সমর্থকদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন কথা বলছেন। ধরে নেওয়া হচ্ছে হাবাসের দল ডার্বিতে পিছিয়ে থেকে শুরু করবে। তবে হাবাস জানালেন,’জুয়ান ফেরান্দ নিজের মত করে চেষ্টা করেছে। সাফল্যও এসেছে। তবে মাঝখানে দলের একটু তাল কেটে যায়। তবে আমাদের অনেক ফুটবলার চলে এসেছে। তবে কোনো ডার্বি না হারার রেকর্ড আমাকে অক্সিজেন দিচ্ছে। আশা করছি জিতে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে পারব।’শনিবারের ডার্বিতে দেখা যেতে পারে মনবীর সিং, দীপক টাংরি, অনিরুদ্ধ থাপা, লিস্টন কোলাসো, শুভাশিস বসু ও বিশাল কাইতের মতো ভারতীয় দলে খেলতে যাওয়া ফুটবলারদের। তবে আশিক কুরুনিয়ানের চোট এখনও সারেনি। সাহাল আব্দুল সামাদ অনুশীলন শুরু করলেও ডার্বি খেলতে পারবেন কি না স্পষ্ট নয়। ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে হাবাস বললেন,’ওদের দল সত্যিই অনেক গুছিয়ে গেছে। সুপার কাপ জেতার জন্য অভিনন্দন। তবে আমাদের ফুটবলাররা সবাই জানে ডার্বির গুরুত্ব।’এদিকে শুভাশিস বোস মোহনবাগান অধিনায়ক। কোনো বাঙালি তথা ভারতীয় হিসেবে দুই দলের মধ্যে সবথেকে বেশি ডার্বি খেলছেন তিনিই। বাঙালি শুভাশিস আবার হুঙ্কার দিলেন। তার কথায় আমাদের রক্তে আছে ঘুরে দাঁড়ানো। মোহনবাগান ঘুরে দাঁড়াতে জানে। এমন কঠিন জায়গা থেকে অনেক আগেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবারও দাঁড়াবে। অনেকে অনেক কথা বলছে ডার্বিতে মোহনবাগানকে নিয়ে। তারা হয়ত ফুটবলটা অনেক ভালো বোঝে। কিন্তু আমাদের কাজ খেলা পারফরমেন্স করা। মাঠে যে ভালো খেলবে তারাই জিতবে। ওরাও জিততে নামবে আমরাও জিততে নামবে। মাঠেই কথা হবে।’