
ওঙ্কার ডেস্ক: পেহেলগাঁও হামলায় তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। হামলার জেরে ভারত-পাকিস্থান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ভারতের অপারেশন সিঁদুরে ধরাশায়ী হয় পাকসেনারা। মাঝে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও ফের পাকিস্তান সেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। বর্তমানে কিছুটা হলেও বন্ধ হয়েছে গলা-গুলি। তবে ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে কড়া বার্তা। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধ নয় স্থগিত রাখা হয়েছে, পাকিস্থান গুলি ছুড়লে ভারত গোলা ছুড়বে। ভারত-পাক যুদ্ধ আবহ নিয়ে মতামত জানালেন বিভিন্ন বিশিষ্টরা-
ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, “পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে রুষ্ট হওয়ার সংগত কারণ ভারতের রয়েছে। এই ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক বলেছেন, “কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সীমান্তপারের সন্ত্রাসকে সহ্য করবে না।”
রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, “রাশিয়া দৃঢ়ভাবে সব ধরনের কার্যকলাপ ও সব ধরনের চরম পন্থার বিরোধিতা করে। বিশ্বব্যাপী এই হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া একান্ত আবশ্যক।” তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত হওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, “আমরা আশাকরি, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় মতপার্থকের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা যাবে।
ভারতের ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজহার বলেছেন, “ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে ইজরায়েল সমর্থন করে। সন্ত্রাসবাদীদের বুঝিয়ে দেওয়া দরকার যে নিরপরাধ মানুষের উপর তাদের জঘন্য অপরাধের পর লুকনোর কোনো জায়গা নেই।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অপারেশন সিঁদুরের বৈধতাকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সার্বভৌম অধিকার ভারতের রয়েছে।” মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স দুপক্ষকে সংযত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, “এটি মূলত একটি আঞ্চলিক বিষয়, এটি আমেরিকার যুদ্ধ নয়, আমরা একে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাও আমাদের করা উচিত নয়।”
পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ ভারতের প্রতি তাঁর দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ফ্রান্স তার সহযোগীদের সঙ্গে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
নেদারল্যান্ডস-এর প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ পহেলগাঁও-এ সীমান্তপারের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন। কাপুরুষোচিত এই হামলার কড়া নিন্দা করে তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডস-এর সুদৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেন নাকাতানি সান পহেলগাঁও-এর সন্ত্রাসবাদী হামলার কড়া নিন্দা করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।
সৌদি আরবের বিদেশমন্ত্রী পহেলগাঁও-এর সন্ত্রাসবাদী হামলার কড়া নিন্দা করে একে নারকীয় হিংসা বলে বর্ণনা করেছেন। সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের সুদৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের জিরো টলারেন্স নীতি এবং ভারতের সঙ্গে সুগভীর কৌশলগত অংশীদারিত্বের উল্লেখ করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এই সমর্থন উপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে ভারতের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ান ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে টেলিফোন করে পহেলগাঁও-এর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন তিনি.